বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে।আজ থেকে শুরু টেস্টের চ্যালেঞ্জ। দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম প্রস্তুত ফিট হয়ে দলের নেতৃত্ব দিতে। গতকাল সম্মেলনে তার কণ্ঠে ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়। কিন্তু কিউইদের কঠিন কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জে সেটি কতটা সম্ভব! অধিনায়ক সেই পথ বাতলে দিয়েছেন। ঘুরে দাঁড়াতে হলে প্রথমে দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটসম্যানদেরই। তবেই বোলাররা লড়াইয়ের পুঁজি পাবে। তাই তিনি টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে ব্যাটসম্যানদের জন্য বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। বিশেষ করে তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদদের মতো সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের দিকে তাকিয়ে তিনি। সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, ‘আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ ঘরের সাফল্য বিদেশের মাটিতেও ধরে রাখা। এখনই আমাদের বিদেশের কন্ডিশনে নিজেদের প্রমাণ করার সময়। তবে এখানে বড় চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে ব্যাটসম্যানদের। বিশেষ করে তামিম, সাকিব ও মাহমুদুল্লাহদের।’ আজ বাংলাদেশ সময় ভোর ৪ টায় নিজেদের প্রমাণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে সিরিজের প্রথম টেস্ট। বেসিন রিজার্ভ স্টেডিয়ামে টসে জিতে হয়তো ব্যাটিং নয়, বোলিং নিতেই বেশি আগ্রহী বাংলাদেশ দল। সেই ইঙ্গিতও দেন অধিনায়ক।
অধিনায়ক মুশফিকের কঠিন চ্যালেঞ্জে ব্যাটসম্যানদেরই তার ভরসা। কিন্তু তার ভরসার সঙ্গে ভয়ও আছে। কারণ এই টেস্ট দলে ৭ জন ক্রিকেটার আছেন যাদের বিদেশের মাটিতে টেস্ট খেলার কোন অভিজ্ঞতাই নেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা এখানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে যোগত্যা অনুসারে ভাল করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই ব্যাটসম্যানদের একাট্টা চেষ্টা ভীষণ প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি আমাদের সামর্থ্য আছে, সেই সঙ্গে এটাই আমাদের ব্যাটসম্যানদের সুযোগ তা করে দেখানোর। আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে বোলারদের জন্য একটি সম্মানজনক স্কোর করে দেয়া। আমরা (ব্যাটসম্যানরা) যদি একটি ভালো রান স্কোর বোর্ডে জমা করতে পারি তবেই বোলাররা লড়াই করতে পারবে।’ অধিনায়ক অবশ্য শুধু ব্যাটসম্যানদেরই নয়, বোলার ও ফিল্ডারদের প্রতিও বার্তা দিয়েছেন তার চ্যালেঞ্জে ভূমিকা রাখতে। তিনি বোলারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এখানে একটা ভালো বলই পারে ওদের (নিউজিল্যান্ডের) টপ ব্যাটসম্যানদের আউট করতে। তাই প্রত্যেক বোলারকে সর্বোচ্চ কষ্ট করতে হবে কারণ নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা বেশ সক্ষম নিজেদের মাঠে বোলারদের উপর নিয়ন্ত্রণ নিতে।’ সেইসঙ্গে বেশ কিছুদিন থেকে বাজে ফিল্ডিংটা ভোগাচ্ছে দলকে।
আজ নিজের প্রথম টেস্ট খেলতে যাওয়া তাসকিনের জন্য নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনকে দারুণ সুযোগ বলে বিশ্বাস করেন অধিনায়ক। এছাড়াও দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও খেলবেন বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট। তাই তার কাছে যেন বেশি প্রত্যাশার চাপ না দেয়া হয় সে জন্যও সবার কাছে অনুরোধ করেন অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘মোস্তাফিজের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, দারুণ অভিষেকের পর কোনো ম্যাচে ২-৩ উইকেট পেলেও অনেকে মনে করে খুব বাজে বোলিং করেছে। আমি এটিই অনুরোধ করবো, বেশি প্রত্যাশা যেন না করা হয় মিরাজের কাছে। জাতীয় দলের হয়ে ওর এটা জীবনে প্রথমবার বাইরে আসা।’ সেই সঙ্গে প্রথম টেস্ট খেলতে না পারা মোস্তাফিজকেও দল মিস করবে বলে মনে করেন তিনি।আজ নিজের প্রথম টেস্ট খেলতে যাওয়া তাসকিনের জন্য নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনকে দারুণ সুযোগ বলে বিশ্বাস করেন অধিনায়ক। এছাড়াও দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও খেলবেন বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট। তাই তার কাছে যেন বেশি প্রত্যাশার চাপ না দেয়া হয় সে জন্যও সবার কাছে অনুরোধ করেন অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘মোস্তাফিজের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, দারুণ অভিষেকের পর কোনো ম্যাচে ২-৩ উইকেট পেলেও অনেকে মনে করে খুব বাজে বোলিং করেছে। আমি এটিই অনুরোধ করবো, বেশি প্রত্যাশা যেন না করা হয় মিরাজের কাছে। জাতীয় দলের হয়ে ওর এটা জীবনে প্রথমবার বাইরে আসা।’ সেই সঙ্গে প্রথম টেস্ট খেলতে না পারা মোস্তাফিজকেও দল মিস করবে বলে মনে করেন তিনি।
দেশের হয়ে মুশফিকুর রহীম টেস্ট খেলেছেন ৫০টি। এর মধ্যে ১৯টি দেশের বাইরে। তার দু’টি টেস্ট সেঞ্চুরি এসেছে বিদেশের মাটিতে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দেশের হয়ে প্রথম ডবল সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে পেয়েছিলেন প্রথম সেঞ্চুরিটি। টেস্টে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৭৫০ রান। এরমধ্যে ৩১.৫১ গড়ে ৩২ ইনিংসে ১১০৩ রান করেছেন বিদেশের মাটিতে। তাই দলের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে তার উপর ব্যাটিংয়ের কিছু করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। যদিও এবার নিজেকে সেই ভাবেই প্রস্তুত করেছিলেন। কিন্তু ইনজুরিতে ছিটকে পড়ায় শেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার মাঠেই নামা হয়নি। তাই ড্রেসিং রুমে বসে কেঁদেও ফেলেছিলেন তিনি। এবার সুযোগ এসেছে তারও কিছু করে দেখানোর। এই পর্যন্ত দেশের বাইরে মুশফিক উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানই নয়, অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৬ টেস্টে। নিউজিল্যান্ডে আগে খেললেও এবারই প্রথম অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামছেন। মাঠে নামতে কতটা উদগ্রীব তা নিয়ে বলেন, ‘উইকেটগুলো দেখে যেটা মনে হয়েছে, আমি খুবই মিস করেছি। এজন্যই চোট পাওয়ার পর ড্রেসিং রুমে ফিরে প্রায় কেঁদেই দিয়েছিলাম। কারণ এসব দেশে এসে যে ভালো খেলে, তাদেরকে অন্যরকমভাবে মূল্যায়ন করা হয়। আমি সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম যে, এখানে এবার ভালো খেলবো কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা হয়নি।
মুশফিক এখন ব্যাটসম্যানদের নিয়ে ভাবছেন
0
Share.