মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে মাকে পিটিয়ে জখম

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় স্কুল পড়–য়া মেয়েকে আটকাবস্থা থেকে উদ্ধার করতে গেলে মেয়েটির মাকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। ১ জুন বৃহস্পতিবার উপজেলার আঙ্গীয়াদী গ্রামের এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ২ জুন শুক্রবার মোছা: কহিনুর বেগম (৪২) ও গোলাপ মিয়া (৫৫) নামের দুইজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগটি দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনার ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে থানা পুলিশ কনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। অভিযুক্ত কহিনুর একই গ্রামের হাসিমুদ্দিনের স্ত্রী এবং গোলাপ মিয়া মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেয়েটি স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনার দিন মেয়েটি বিদ্যালয় ছুটি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। প্রতিপক্ষের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরে মেয়েটিকে আটক করে রাখে কহিনুর বেগম ও গোলাপ মিয়া। খবর পেয়ে মেয়েটির মা তাকে উদ্ধার করতে সেখানে ছুটে যান। মেয়েকে কেন আটক করা হয়েছে জিজ্ঞেস করলে মাকে রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতারি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে কহিনুর ও গোলাপ মিয়া। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।

মেয়েটির বাবা শহীদুল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জেরে মেয়েটি স্কুল থেকে বাড়িতে আসার সময় কহিনুর ও গোলাপ মিয়া আমার মেয়েকে আটক করে রাখে। তাকে উদ্ধার করতে গেলে মেয়ের মাকেও তারা এলোপাতারি পিটিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। সে এখনো চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু অভিযোগের ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এ ব্যাপারে এখনো থানা পুলিশ কনো ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। অভিযুক্ত গোলাপ মিয়া বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share.