স্টাফ রিপোর্টারঃ
বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর বিচার করা যাবে না বলে যারা আইন পাশ করেছিল তারা আজ মানবতার কথা বলেন, গুম-খুনের কথা বলেন। মানবতা সেদিন কোথায় ছিল? আজকে যারা ভোটের কথা বলেন তারা সেদিন কোথায় ছিলেন, যেদিন জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে “হ্যাঁ” “না” ভোটের প্রচলন করেছিলেন।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার শ্রীরামদী আলুর স্টোর এলাকায় স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করার জন্য উন্নয়নের ধারাবাহিকতার জনসভায় এসব কথা বলেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল আন্তার্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল এর প্রসিকিউটর ও বাংলাদেশ বার এসোসিয়েশনের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বাদল।
জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে উল্লেখ করে মোখলেছুর রহমান আরও বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তাদের দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্ট খুলে হত্যাকারীদের টাকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বিমান দিয়ে ব্যাংকক, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা এই দেশ চাইনি, দেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল জিয়াউর রহমান তাদের মন্ত্রী বানিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সহনশীল দল, দানশীল দল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ছয় বছর পর্যন্ত শেখ হাসিনা দেশে আসতে পারেন নাই। ছয় বছর পর দেশে আসলেও ধানমন্ডির “৩২ নাম্বার” বাসাতেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কি পরিমান অত্যাচার করা হয়েছে আওয়ামী লীগের উপর শেখ হাসিনার উপর তা আর বলা লাগে না। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নেতাকর্মীদের দিনের বেলা গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেই তুলনায় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা মায়ের গর্ভে আছেন। কারণ তাদের উপর আজ কোন নির্যাতন নাই, অত্যাচার নাই, তারা আজ কোন প্রকার নির্যাতন ছাড়ায় নিজেদের রাজনীতি করে যাচ্ছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আহমেদ উল্লাহ বলেন, ১৯৯৮ সালে সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম সামছুল হক গোলাপ মিয়ার মৃত্যুর পর যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এর মধ্যে দু’য়েকজন ছাড়া বাকী সংসদ সদস্যদের অত্যাচারে পাকুন্দিয়ার অনেক মানুষ বিভিন্ন দেশে চলে গেছেন। এদের কারণ একটাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতায় এসে জিয়াউর রহমান গর্বের সহিত বলেছিলেন, আমি রাজনীতিবীদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে দিয়ে গেলাম। যার ফলে কোনদিন রাজনীতি করে নাই, শুধু টাকা ইনকাম করেছে, সেই সকল লোকজন যখন এমপি হয়ে আসে তখন তারা শুধু সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে। এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসার জন্য সামনে সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনে একজন রাজনীতির লোককে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
জনসভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম হাবিবুর রহমান চুন্নু, দপ্তর সম্পাদক বাবু দীপক দাস, পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সেলিম উপস্থিত ছিলেন।