নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর পুলিশের দায়ের করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়রম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুসহ আওয়ামী লীগের ৭৩জন নেতাকর্মী।
আজ বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশিকুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন। রায়ে তিনি সকল আসামিকে খালাস প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালে ৩০ অক্টোবর পাকুন্দিয়া সদর ঈদগাহ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এক কর্মী সভার আয়োজন করে। তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন সমর্থিত একই স্থানে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন ও সিনিয় যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হাসান টিপু, পৌর যুব লীগের আহ্বায়ক নাজমুল দেওয়ান ও যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক এখলাস উদ্দিন একই স্থানে কর্মীসভার আহ্বান করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উল্লেখিত স্থানসহ পৌর সদরে ১৪৪ ধারা জারী করেন।
উভয় পক্ষের লোকজন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কর্মী সভা করার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরই প্রক্ষিতে পরবর্তীতে এস আই মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুসহ ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২ থেকে ৩ হাজার লোকের বিরুদ্ধে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ এস আই জাহাঙ্গীর আলম আদালতে ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আজ আদালত আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, এই মামলায় যাদেরকে আসামি করা হয়েছে সকলই আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতকর্মী। তারা বিভিন্ন ভাবে এই মামলার মাধ্যমে নির্যাতিত হয়েছে। এসময় এমপি সমর্থিত লোকজনকে মামলায় আসামি করা হয়নি। আজ এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।