রাষ্ট্রিয়ভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই অবৈধ সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে। রাষ্ট্রিয়ভাবে এসব হত্যাকান্ড চালানো হচ্ছে। রাষ্ট্রের নির্দেশে, রাষ্ট্রের প্রধানের নির্দেশে রাষ্ট্রিয় এসব হত্যাকান্ড চালাচ্ছে। এভাবে বাধা দিয়ে, গুলি করে হত্যা করে কখনোই কোন দল ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নাই।

তিনি আজ দুপুরে কিশোরগঞ্জে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জ্বালানি তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং ভোলা ও নারায়নগঞ্জে বিএনপির তিন নেতা-কর্মীকে পুলিশের গুলিতে নিহত করার ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশ ও মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষনে শতাধিক নেতা-কর্মী আহত এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

পাকুন্দিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মির্জা আব্বাস বলেন, পাকুন্দিয়ায় সংঘটিত ঘটনা একটি অভাবনীয় নারকীয় ঘটনা। সরকারী দলের মাস্তান ও পুলিশের আতংকে বর্তমানে পাকুন্দিয়ায় কিছু কসাই ছাড়া কোন লোক নেই। বিএনপি নেতা-কর্মীরা এতটাই আতংকিত যে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে থাকায় জনশুন্য হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, নারায়নগঞ্জে যে গুলি দিয়ে শাওনকে হত্যা করা হয়ে হয়েছে, তা চাইনিজ রাইফেলের গুলি। চাইনিজ রাইফেল একটি যুদ্ধাস্ত্র, এটা সাধারণ পুলিশের ব্যবহার করার কথা নয়। এসব অস্ত্র যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়, সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে নয়।

তিনি আরো বলেন, জ্বালানী তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা অনেক কর্মসূচি পালনের পরও সরকারের টনক নড়ে নাই, সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নাই। সরকার দাম বাড়িয়েই চলেছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকারের মেয়াদ বেশীদিন নাই। এই সরকার বেশীদিন টিকে থাকতে পারবে না। গণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের অচিরেই পতন ঘটানো হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহকবায়ক আব্দুস সালাম সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, লাশ অনেক ফেলেছেন। দরকার হলে আমরাও লাশ হব, কিন্তু এবার আর তাদের পাতানো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না, আমরা দিব না।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রিয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Share.