স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রেকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অধীনে চলছে সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের খিরোদগঞ্জ বাজার থেকে চংশোলাকিয়া পর্যন্ত পাকা সড়ক সংস্কার উন্নয়নের কাজ। এ কাজে ধীরগতি ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তাটি নির্মাণের শুরু থেকেই অনিয়ম করা হচ্ছে। আড়াই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার কাজে খোয়ার পরিবর্তে পুরনো রাবিশ ব্যবহার করা হচ্ছে। এবং পুরনো রাবিশ ইট ভেঙে খোয়া তৈরি করে রাস্তার সাববেজে দেয়া হচ্ছে। যেনতেনভাবে কাজ করায় রাস্তা সংস্কারে গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া নির্মাণসামগ্রী যত্রতত্র ফেলে রাখা এবং রাস্তা নির্মাণে বিলম্ব হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। অসাধু ঠিকাদারদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এসব নির্মাণ কাজ নিম্নমানের হওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
সদর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সদর উপজেলার গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মহিনন্দ ইউনিয়নের খিরোদগঞ্জ-চংশোলাকিয়া পর্যন্ত ৩ কোটি ত্রিশ হাজার ৩৮৮ টাকা মূল্যে পাকা সড়ক সংস্কার কাজ পান মেসার্স ইব্রাহিম কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে কাশোরারচর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সংস্কার কাজে পুরনো রাবিশ ও তিন নাম্বার ইট দিয়ে খোয়া করে তারপর রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, রাস্তা উন্নয়নে কাজে যে খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে তা থার্ড ক্লাস ইট দিয়ে তৈরী। যা হাতের আঙুলের চাপে ভেঙ্গে যায়। আর এসব বিষয়ে কথা বললে রাস্তা সংস্কার কাজে নিয়োজিত দায়িত্বে থাকা সাইট ম্যানেজার কবির হোসেন কোন কর্নপাত করেন না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাইট ম্যানেজার কবির হোসেনের কাছে নিম্নমানের কাজের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তা উন্নয়নের কাজে সবসময় ভালো ইটের খোয়া ব্যবহার করা যায় না তার সাথে বাজে রাবিশের খোয়া আসবেই।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক লিটু মিয়াকে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন, রাস্তা উন্নয়ন কাজে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হলে তা সরিয়ে নেয়া হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী জোনায়েত আলম বলেন, রাস্তা উন্নয়নে কাজে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হলে এবং কোন প্রকার অনিয়ম পাওয়া গেলে তা খতিয়ে দেখা হবে। এবং অনিয়মের সত্যতা মিললে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।