স্টাফ রিপোর্টারঃ
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মাতব্বরদের সাথে বিরোধের জের ধরে কথাকাটাকাটি হওয়ায় ৪ টি অসহায় পরিবার কে করা হয়েছে সমাজচ্যুত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেই ৪ পরিবার কে দেওয়া হয়নি কোরবানির এক টুকরো মাংসও। মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তেও নিষেধ করা হয়েছে। এবং কি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করতেও দেওয়া হয়েছে বাঁধা।
স্থানীয় মাতব্বর সাহাবউদ্দিন ও তার গংদের অত্যাচারে একপ্রকার গৃহবন্দি হয়ে জীবন যাপন করছে ৪ টি পরিবারের সদস্যরা। এমন অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের দনাইল মধ্যপাড়া এলাকার মাতব্বর সাহাবউদ্দিন ও তার গংদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে কয়েক দিন ধরে সাহাবউদ্দিনের সাথে বিরোধ চলছিল তার চাচাত ভাই কাজল মিয়ার। কাজল মিয়া ব্যবসায়ীক সুবিধার্থে পার্শ্ববর্তী খিলপাড়া বাজার এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। কাজল মিয়া অত্র এলাকায় না থাকায় সেই বিরোধের জের ধরে কাজল মিয়ার ৪ ভাগ্নে শফিকুল ইসলাম, প্রতিবন্ধী সাইফুল ইসলাম, দুলাল মিয়া ও বিল্লাল মিয়ার ৪ পরিবারের সদস্যদের কে সামাজিক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে একপ্রকার গৃহবন্দি করে রেখেছে সাহাবউদ্দিন ও তার গং। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী ৪ পরিবারের সদস্যরা জানান, আমাদের কে সামাজিক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। কোরবানির ঈদে মাতব্বর সাহাবউদ্দিন ও তার গংদের নির্দেশে সমাজ থেকে দেওয়া হয়নি কোরবানির মাংস। স্থানীয় মসজিদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পারিবারিক গোরস্থানে যেতেও দেওয়া হয়েছে বাঁধা। বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে নিষেধ করা হয়। এবং কি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে সাহাবউদ্দিন ও তার গং।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) গোলাম মোস্তফা বলেন, ঘটনাটি সত্য। আমি এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে শুনেছি। তবে আমার কাছে ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ নালিশ করেনি। এই বিষয়ে বিন্নাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল ইসলাম বাবুল ঘটনাটি দুই দিনের মধ্যে মিমাংসা করার আশ্বাস দিলেও পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও হয়নি কোন সুরাহা। মঙ্গলবার বিকেলে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।