মাই ২৪ আর্ন্তজাতিক ডেস্কঃ
বাবা শ্রমিকের কাজ করতেন। বেশ ভালোই বেতন পেতেন তিনি। কিন্তু করোনার কারণে হওয়া লকডাউনের কারণে বদলে যায় পরিস্থিতি। কম্পানির ব্যবসা কমে যায়। আর এর কোপ পড়ে কর্মচারীদের বেতনের ওপরে। এর ফলে স্কুলের ফি দিতে পারছিল না ভারতের উত্তরাখণ্ডের এক শিক্ষার্থীর বাবা। তাই ডাকাতি করে স্কুলের খরচ যোগানোর চেষ্টা করেছিল সেই শিক্ষার্থী। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। তদন্তে নেমে আরো তিন অভিযুক্তের সঙ্গে তাকেও গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উধম সিং নগর জেলার রুদ্রপুর শহরে।
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রুদ্রপুর শহরের বলবন্ত এনক্লেভ কলোনি রেসিডেন্সিতে শচীন শর্মা নামে এক ব্যক্তির মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ৫ লাখ রুপি লুট করার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে চার জনকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন কিশোরকে দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। এরপর তাকে জেরা করতে সে জানায়, তার বাবা রুদ্রপুরের একটি কম্পানিতে কাজ করেন। আর সে শহরের একটি নামী স্কুলে পড়াশোনা করে। লকডাউনের কারণে তার বাবার বেতন কমে যাওয়ায় স্কুলের ফি জমা দিতে পারছিল না। সেই অর্থ যোগান দিতে বাকিদের সঙ্গে ডাকাতিতে এসেছিল।
রুদ্রপুরের সার্কেল ইন্সপেক্টর অমিত কুমার বলেন, ‘ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করার পর স্কুলের বেতন দিতে সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে তার বাবা একজন শ্রমিক ও লকডাউনে বেতন কমার বিষয়টিও সত্যি বলে জানা গেছে। তবে এখনও তদন্ত চলছে। তারপরই এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব হবে।