স্বাধীনতা অর্জনের ভাগিদার দাবি করে চেতনার ব্যবসা করেছে আওয়ামী লীগ

0

স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরীফুল আলম বলেছেন, রাজনীতিবীদ হিসেবে আমার লজ্জা হয়, যারা স্বাধীনতা অর্জনের ভাগীদার দাবি করে চেতনার ব্যবসা করেছে আজকে সেই দলের (আওয়ামী লীগ) কি করুন পরিনতি। আসলে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য বিগত ১৬ বছরে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ আহত হয়েছে। শত শত মানুষকে আয়নাঘর বানিয়ে সেখানে অত্যাচার করা হয়েছে। আজকে এই জুলুমের বিচার বাংলার মাটিতে এদেশের জনগণ চাই। আমরা এই মঞ্চ থেকে দলের সকল দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার দাবি করছি।

বুধবার (১৪ আগষ্ট) বিকেলে কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের কালীবাড়ি মোড় এলাকায় শেখ হাসিনা কর্তৃক ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা এবং তার দোসরদের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

শরীফুল আলম আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে মানবতা বিরোধী অপরাধে মামলা করতে হবে। এবং মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে। শেখ হাসিনার দোসরদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না। আন্দোলন চলছে আন্দোলন চলবে। ১৫ আগষ্ট ইতোমধ্যে শোক দিবসের পরিবর্তে বিজয় দিবসে পরিনত হয়েছে। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা সকলে সচেতন থাকবেন এই দিবস উপলক্ষ্যে শেখ হাসিনার দোসররা রাজপথে বের হলে তাদের প্রতিহত করতে হবে। পাড়া মহল্লায় পাহারা বসাবেন কোন অবস্থাতে তারা যেন বের হতে না পারে।

বিএনপি’র মধ্যে কোন চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজ নাই দাবি করে তিনি আরও বলেন, বিএনপি এ ধরনের রাজনীতি পছন্দ করে না। ছাত্র সমাজের আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক শক্তিকে একত্রিত করে আমরা শেখ হাসিনাকে পতন করিয়েছি। আজকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে যাওয়ার জন্য আরও কঠিন পথ পারি দিতে হবে। এখনও স্বৈরাচারের দোসররা বাংলাদেশে ঘাপটি মেরে আছে। তাদের মোকাবিলা করতে হবে। পার্শ্ববর্তি রাষ্ট্র থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অনেক জায়গা থেকে অর্থ সম্পদ বিভিন্ন ভাবে ইনভেস্ট করা হচ্ছে এই জায়গাগুলো সর্তক থাকতে হবে।

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শরীফুল আলম বলেন, বিগত সরকারের আমলে আপনাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। যারা ব্যবসা করতেন তারা সেখান থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। মেধা ও অভিজ্ঞতা থাকার পরও দল করার কারণে চাকরি পাইনি। তাদের সকলকে মূল্যায়ন করা হবে। আপনারা মনে রাখবেন দলের যে সিদ্ধান্ত রয়েছে কোন অনুপ্রবেশকারীকে দলে টানবেন না। বিগত আন্দোলনে যারা মাঠে ছিল তাদেরকে দিয়েই দল চালানো হবে। চূড়ান্ত অর্জন না হওয়া পর্যন্ত রাস্তায় রাস্তায় পাহারা দিতে হবে। সকল ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলা করতে হবে।

হিন্দু ধর্মের লোকদের উদ্দেশ্যে আলম বলেন, হিন্দু ভাই-বোনদেরকে আওয়ামী লীগ ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জীবন দিয়ে রাতের পর রাত মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্টান পাহারা দিচ্ছে। আপনারা কোন রাজনৈতিক দলের ব্যনারে ব্যবহৃত হবেন না। আমরা সকল ধর্মের মানুষ দেশটাকে গড়তে চাই। বিএনপি’র কোন নেতাকর্মী ধারা আপনাদের কোন ক্ষতি হবে না।

এসময় জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ভিপি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সদস্য সচিব ইসরাঈল মিয়া, জেলা যুব দলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সুমন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ নেভিনসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Share.