স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নির্বাচনে ভোট কারচুপি’র অভিযোগ উঠেছে। পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মালিক সমিতির একাংশের নেতাকর্মীরা।
অভিযোগে সভাপতি প্রার্থী শাহজাহান লস্কর (পরাজিত) বলেন, গত ৩১ জুলাই শহরের উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে সম্পূর্ণরুপে সাজানো, প্রহসনমূলক, ত্রুটিপূর্ণ ও মনগড়া মতো পূর্ব পরিকল্পিত একটি ফলাফল তৈরী করে সারারাত অপেক্ষা শেষে ভোররাতে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফলে মোট বৈধ ভোটের সংখ্যার চেয়ে বিজয়ী প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যার সাথে গড়মিল রয়েছে। কার্যকরী পরিষদের ২৩টি পদের জন্য মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ৬, ৮৩১টি। কিন্তু বিজয়ী ও পরাজিত মোট ৪১ জন প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটে সংখ্যা ৬, ৬৯৫টি। সেখানে বৈধ ভোটের প্রার্থক্য ১৩৬ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে রাত ৩ টা ৩০ মিনিটে মাইকে ঘোষণাকৃত ফলাফলে ৩ ভোটে এগিয়ে থাকা প্রার্থীকে ভোর ৬টায় ১ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর ব্যালট পেপার সিলগালা না করে নির্বাচনীয় ব্যালট ও অন্যান্য সামগ্রী তাদের হাতে রেখে দেয়। যদিও পূর্বের নিয়মে নির্বাচনী সামগ্রী সংশ্লিষ্ট থানায় জমা রাখার বিধান রয়েছে। সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান প্রথমে নিজ বাসা পরবর্তিতে মালিক সমিতির অফিসে রেখে দিয়েছেন। ইতোমধ্যে আদালতে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, সদস্য মাজহারুল হক কার্জন ও আব্দুল ওয়াদুদকে বিবাদী করা হয়েছে।
নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম বলেন, এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। নির্বাচন বোর্ডের কাছে ভোট পুনঃ গণনার জন্য কোন আবেদন করেনি পরাজিত প্রার্থীরা। ভোট গ্রহণ ও গণনায় কোন অনিয়ম হয়নি। ভোট গণনার সময় প্রার্থীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া ভোট পুনঃ গণনার জন্য ইতোমধ্যে আদালতে মামলা করা হয়েছে আদালত পরবর্তি নির্দেশনা দিবে।
সংবাদ সম্মেলনে সহ-সভাপতি প্রার্থী এটিএম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক, সাবেক সদস্য সচিব শেখ ফরিদ আহাম্মদ, কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী মোঃ শাহজাহান, কার্যনির্বাহী সদস্য প্রার্থী জিল্লুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।