খায়রুল ইসলাম (হোসেনপুর) কিশোরগঞ্জঃ
চারিদিকে শোভা পাচ্ছে সবুজের সমারোহ। যে দিকে তাকানো যায় সেদিকেই শুধু সবুজ আর সবুজ। শরতের রোদ-বৃষ্টির খেলায় সবুজের আভা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে।কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে মাঠজুড়ে দৃষ্টিনন্দন আমনের ফসল নজর কাড়ছে সবার। আশা করা যাচ্ছে,এবার আমনের বাম্পার ফলন গতবারের সব রেকর্ড ভেঙে দিবে। চারিদিকের এসব নয়নাভিরাম সবুজ দৃশ্যের ফাকে উকিঁ দিচ্ছে কৃষকের আগামীর সোনালী স্বপ্ন৷
মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে আমন ধানের সবুজপাতা, আর আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। কৃষকের মনে উঁকি দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। সবুজ ঘেরা রোপা আমনের মাঠ দেখে বারবার ফিরে তাকায় কৃষক, যেন মনে খুশির শেষ নেই। আর কয়েক দিনের মধ্যেই সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষকের শূন্য গোলা।
সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে আমন ধান রোপণের অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পুমদি,শাহেদল, গোবিন্দপুর, আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের গ্রাম গুলোতে আমন ধানের মাঠ সবুজে চেয়ে গেছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও পরিবেশ অনুকুলে থাকায় এবার কোনো ক্ষতিকর পোকাও ফসলের তেমন ক্ষতি করতে পারে নি।
কৃষকদের সাঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবছর জমিতে তারা বিনা সেভেন ৮, হাইব্রিড বিধান ৭, ২৮, ২৯, ৪৯, ৫২, বায়ার কোম্পানির ধানী গোল্ড, তেজ ও পেট্রোকেম কোম্পানির পাইওনিয়ার এগ্রো-১২ জাতের ধান রোপণ করছেন। আমন মৌসুম শুরুতেই সেচের পানি কিনতে হয়নি বলে তাদের অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। তারা বেশ লাভবান হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন। ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারলে তাদের সারা বছরের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হবে।
নিরাহারগাতী গ্রামের প্রান্তিক কৃষক সোহরাব মিয়া বলেন, এ বছর আমি ৫ কাটা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। এমন সুন্দর ধানের চারা দেখে আমার মনটা খুশিতে ভরে উঠেছে। ধুলজুরী গ্রামের কৃষক দ্বীন ইসলাম বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের লোকদের পরামর্শ নিয়ে আমরা উপকৃত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম শাহজাহান কবির বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং তেমন প্রাকৃতিক দুযোর্গ না ঘটায় এবছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার অধিক আমন ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাজরা পোকা ও গোড়া পঁচা রোগে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।