হোসেনপুরে কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে ব্রিধান-৮২

0

খায়রুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ) হোসেনপুরঃ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এ বছর আউশ ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে ২৫ একর জমিতে প্রদর্শনী ও কৃষকের নিজ ব্যবস্থাপনায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সার্বিক সহায়তায় আউশ মৌসুমে ব্রিধান-৮২ জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে।

ব্রিধান-৮২ এর বৈশিষ্ট্য হলো মাঝারী মোটা। উচ্চতা ১১০ সে.মি, জীবন কাল ১০৩ দিন এবং গড় উৎপাদন হেক্টর প্রতি সাড়ে ৫ মেট্রিক টন।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলিমুল শাহান জানান, ব্রিধান-৪৮ থেকে ব্রিধান-৮২ এর সময় ৭ দিন কম ও ফলন হেক্টর প্রতি আধা মে: টন বেশি হওয়ায় কৃষক আউশ ধান আবাদ করার পরে স্বাদছন্দে আমন আবাদ করতে পারে। সময় মতো আমন ধান আবাদ করার ফলনে কোনো ক্ষতি হয় না। এবছর আউশের উৎপাদন ভালো হওয়ায় আগামী বছর রামপুর এলাকায় ৭৫ ভাগ জমি আউশের আওতায় চলে আসবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

রামপুর গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, গত বছর ব্রি-ধান-৪৮ এর থেকে ৭দিন আগে কাটায় ব্রিধান-৮২ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি ও সময় মতো আমন ধান রোপন করেছি এবং মাড়াই অবস্থায় মন প্রতি ১১শ’ টাকা দরে বিক্রি করছি।আউশ চাষী আহসান উল্লাহ জানান, সময় মতো কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শ পেয়ে জমি পতিত না রেখে আউশ উৎপাদন করে বাম্পার ফলন পেয়েছি।

উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুমা আক্তার জানান, ব্রি-ধান-৮২ জাতের ধান উৎপাদনে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের সার্বিক সহায়তা করা হয়েছে। বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষীদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.ইমরুল কায়েস বলেন, আউশ ধানের উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশি, সময় কম লাগে, সেচ লাগে না, সার কম লাগে, কেটে পুনরায় একই জমিতে আমন ধান চাষ করা যায়। আশা করছি আগামীতে কৃষকরা আরো বেশি আউশ ধান চাষ করবেন।

Share.