খায়রুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ) হোসেনপুরঃ
প্রতিবন্ধীরাও সমাজের অংশীদার। বাঁচার তাগিদে সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় তাদের। কেউবা সমাজের বোঝা হতে চান না, কর্ম নিয়ে বেঁচে থাকতে চান।তিনি ভিক্ষা চান না। নিজে কাজ করে স্বাবলম্বী হয়ে জীবনযাপন করতে চান। তার শুধু দরকার একটু সহায়তা। এমনি এক ৩০ ইঞ্চি শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবকের সন্ধ্যান মিলে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলাধীন জিনারী ইউনিয়নের চরকাটিহারী গ্রামে। সে চরকাটিহারী গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র টুটুল মিয়া (৩৫)।
স্থানীয়রা জানান, দরিদ্র পরিবারে ১৯৮৭ সালে স্বাভাবিক ভাবে জন্ম নেন টুটুল মিয়া। জন্মের পর গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে চুতর্থ শ্রেণীতে লেখা পড়া করার সময় ফুটবল খেলতে গিয়ে দুই পায়ে ব্যাথা অনুভব হয়। চিকিৎসা করিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তার। শিশু বালক অবস্থায় পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় তাকে। নিভে যায় মানুষ হওয়ার স্বপ্ন। পরে শারীরিক প্রতিবন্ধী ও দরিদ্রতার কারণে লেখা পড়া বন্ধ হয়ে যায় তার। আশা ছিল জনস্বাস্থ্য বিভাগের মেকানিক্যাল প্রকৌশলী পাশ করে সমাজ ও দেশের উন্নয়নে পা রাখবে। কিন্তু তার স্বপ্ন ঘুরেবালি।
আড়াইফুট উচচতা (৩০ ইঞ্চ) আকারের ছোট মানুষটি শারীরিক প্রতিবন্ধী থাকলেও মনোবল সুদৃঢ়। সে হোসেনপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিস কর্তৃক প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও সন্তুষ্ট নন, কাজ করে বাঁচতে চান। চলাচলের জন্য একটি হুইল চেয়ার থাকলেও তা নষ্ট হওয়ার পথে। পরিবারের বোঝা না হয়ে টুটুল মিয়া বাড়ির সামনের রাস্তায় একটি মুদি দোকান বসিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা চালাচ্ছেন। আর্থিক অস্বচ্ছতার কারণে পরিবার ও দোকানে আসা ক্রেতাদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারছেন না সে। তাই তিনি মাননীয় সংসদ সদস্যের কাছে একটি সাবমার্সিবল পাম্পের জন্য আবেদন করেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া পারভেজ জানান, মানবিক আবেদনটি আমি মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়কে অবহিত করবো এবং উপজেলা ওয়াটসন কমিটিতে অবশ্যই উপস্থাপন করা হবে। দ্রুতই সাবমার্সিবল পাম্পের ব্যবস্থা করা হবে।