খায়রুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ) হোসেনপুরঃ
মননশীল মেধা শ্রম ও আর্থিক বিনিয়োগ করে দিনভর পরিশ্রমের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়েছে কৃষিজ পণ্য হাইব্রিড শসা। সবুজের সমারোহ গ্রামের একাংশ। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অসাধ্যকে সাধন করেছে গ্রামের কৃষক। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শসার গ্রাম রামপুর। এ গ্রামের সৈয়দুজ্জামানের পুত্র আলমগীর হোসেন স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করে চাকুরীর পিছে না ঘুরে কৃষি কাজে মনোযোগী হন। নিজস্ব অর্থায়নে ও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের প্রযুক্তিগত আধুনিক জ্ঞানের সহায়তায় বাড়ির পাশে গত জুলাই মাসের শুরুতে ৫২ শতক পতিত জমিতে শসার আবাদ শুরু করেন।
বর্ষার মৌসুমে ফেন্টোসি-২, থাইল্যান্ড-১, ৫৭৭ এবং আগাম ৩৫ জাতের শসার বীজ বপন করা হয় জমিতে। পলিথিন সেডে মালচিং পদ্ধতিতে বেড তৈরি করে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ও জৈব সার একসাথে প্রয়োগ করা হয়। এতে করে জমিতে বার বার সার প্রয়োগ করতে হয় না। আবাদকৃত জমিতে মালচিং সেড দিয়ে ডেকে দেয়া হয়। অতি বৃষ্টিতেও মাটির জো নষ্ট হয়না এবং অতিরিক্ত আগাছার পরিমান কম থাকে বিদায় কৃষকের উৎপাদন খরচ কম হয়।
ফেন্টোসি-২ জাতের শসা রোপনের ৩৫ দিনের মধ্যে ফুল আসে এবং ৬৫দিন পর্যন্ত ভালো ফলন পাওয়া যায়। অন্যান্য জাতের হাইব্রিড শসার জীবনকাল ৭৫-৮০দিন। কম সময়ে ফলন বেশি। মোট জমি ৪ ভাগে ভাগ করে প্রতিবেড ৭দিন অন্তর অন্তর করে বীজ রোপন করা হয়। এতে করে একদিন পর পর শসা উত্তোলন ও বাজারজাতকরণের সুবিধা হয়। বিক্রয়ের সুবিধা ও বাজার পেতে বীজ রোপনের দিন ব্যবধান করা হয়। এখনকার উৎপাদিত শসা পাইকারী ভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে ৩৭ টাকা কেজি দরে পাইকারী বাজার রয়েছে।
রামপুর গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন জানান, ইদানিং বর্ষা মৌসুমে ২ লক্ষ টাকা শসা বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। একই গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলম মিয়া বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তায় শসা আবাদ করে আমি আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছি।
জানতে চাইলে রামপুর ব্লকে কর্মরত উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলিমুল শাহান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী গ্রামের এক ইঞ্চি জমিও যাতে পতিত না থাকে এবং সারা বছর সবজি উৎপাদনের লক্ষে রামপুর গ্রামের কৃষকগণকে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষে উদ্ধুদ্ধ করা হয়েছে।