হোসেনপুরে ভিক্ষাও নেই খাবারও নেই এক গৃহহীন দম্পতির

0

খায়রুল ইসলাম, হোসেনপুরঃ

ভিক্ষা আর মানুষের সাহায্য সহযোগিতায় দিন কাটাতো এক গৃহহীন দম্পতির। কিন্তু করোনা ও লকডাউনের কারণে অসহায় ভিক্ষুক দম্পতি অন্ন যোগাতে পারছেনা। বহুদিন ধরে উপজেলা থেকে অসহায় ও গৃহহীনদের নামের তালিকা অন্তর্ভূক্ত করা হলেও তাদের নাম আজও আলোর মুখ দেখেনি।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভার পশ্চিম ধূলজুরী গ্রামের মৃত জুলফত আলীর পুত্র নূরুল ইসলাম। বয়স আশি উর্ধ্ব পৈর্তৃক বা নিজের কোনো জায়গায় না থাকায় অন্যের বাড়ির বারান্দায় দিন কেটেছে বহু দিন। নিজের ঘরে বসবাস করার সামর্থ্য তাদের কপালে কোনো দিন জুটেনি। এর আগে পৌর এলাকার ঢেকিয়া এক পাইপ ফ্যাক্টরীতে পাইপের ভিতর ১৭০০ দিন কাটিয়েছে। সীমাহীন কষ্টে অবশেষে এলাকা ছেড়ে হোসেনপুর সরকারি কলেজে পরিত্যক্ত সাইকেল ষ্ট্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে গৃহহীন দম্পতি। বয়সের ভাড় ও অসুস্থতায় বৃদ্ধ নূরুল ইসলাম এখন আর ভিক্ষা করতে পারছেনা।

বৃদ্ধের স্ত্রী বকুলা খাতুন (৬৫) স্বামীর জন্য ভিক্ষা করে দিনানিপাত করছে। করোনার জন্য ভিক্ষাও জুটছেনা কপালে।
স্বামীর মুখে একমোট ভাত তুলে দিতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন নিসন্তান বকুলা। ভিক্ষুক নূরুল ইসলামের একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড থাকলেও তা হারিয়ে গেছে। দুই বছর ধরে সে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না। মানুষ মানুষের জন্য হলেও এই অসহায় গৃহহীন ভিক্ষুক দম্পতির জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।

হোসেনপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুহাম্মদ মিছবাহ উদ্দিন জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে মানবিক সহায়তা ও বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে।

Share.