৩০৩ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

0

বাংলাদেশ বোলিং তেমন জ্বলে উঠতে পারেনি,যে ভাবে ব্যাটিংয়ে জ্বলে উঠেছিল। তাছাড়া ক্যাচ মিস আর মিস ফিল্ডিংয়ের ‘অভিশাপ’ তো আছেই। এক তাসকিনের বলেই দুইবার ক্যাচ ছাড়লেন সাব্বির আর সাকিব। সব মিলিয়ে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৯২ রানে দিন শেষ করল স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের থেকে ৩০৩ রান পিছিয়ে তারা।

বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৫৪২ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে।তাসকিন আহমেদের উইকেট হারায় সফরকারীরা। ৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাব্বির রহমান। শেষ পর্যন্ত তিনি ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন। দলীয় ৫৯৫ রানের সময় হুট করেই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। রানটা মনে হয় কিউইদের চ্যালেঞ্জে ফেলার জন্য যথেষ্ট মনে হয়েছে কোচ-অধিনায়কের।

কিউইদের দলীয় ৩৪ রানে সাব্বির তাসকিনের বলে ক্যাচ ছাড়েন। তবে দলীয় ৫৪ রানে প্রথম আঘাত হানেন তরুণ পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। তার বলে উইকেটকিপার ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা পড়েন জিত রাভাল (২৭)। এরপর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে (৫৩) ফিরিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট তুলে নেন অভিষিক্ত তাসকিন আহমেদ।

উইলিয়ামসন আউট হওয়ার পর তৃতীয় উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়েন রস টেইলর এবং টম ল্যাথাম। জুটি ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল। সেই মুহূর্তে আবারও মঞ্চে আবির্ভাব রাব্বির। তার বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ধরা পড়েন টেইলর। এরআগে তিনি ৫১ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪০ রান করেন।

তাসকিনের ৬০তম ওভারের প্রথম বলে ৩ রান নিয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার টম ল্যাথাম। ১৬৭ বলে তিন ১২টি বাউন্ডারি হাঁকান। তৃতীয় দিন শেষে তিনি ১১৯ রানে অপরাজিত আছেন। অপর প্রান্তে হেনরি নিকোলাস ৩৫ রান করে অপরাজিত আছেন।

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৫২ ওভারে ৫৯৫/৮ ইনিংস ঘোষণা (তামিম ৫৬, ইমরুল ১, মুমিনুল ৬৪, মাহমুদউল্লাহ ২৬, সাকিব ২১৭, মুশফিক ১৫৯, সাব্বির ৫৪*, মিরাজ ০, তাসকিন ৩, রাব্বি ৬*; বোল্ট ২/১৩১, সাউদি ২/১৫৮, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/৬৫, ওয়াগনার ৪/১৫১ স্যান্টনার ০/৬২, উইলিয়ামসন ০/২০)।

নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: তৃতীয় দিন শেষে ৭৭ ওভারে ২৯২/৩ ( রাভাল ২৭, লাথাম ১১৯, উইলিয়ামসন ৫৩, টেইলর ৪০, নিকোলস ৩৫; তাসকিন ১/৭৯, রাব্বি ২/৫৩)

এরপর পাহাড়সম রান তাড়া করতে নামে নিউজিল্যান্ড। গতকাল নেইল ওয়াগনারের লাফিয়ে ওঠা বলে আঙুলে আঘাত পেয়ে আজ মাঠে নামতে পারেননি অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তার আঙুল এক্স-রে করা হয়েছে। মুশির বদলে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্বপালন করেন তামিম ইকবাল। অনেকদিন পর উইকেট কিপারের গ্লাভস পরেছেন ইমরুল কায়েস। আর ইমরুলের শূন্যস্থান পূরণ করে ফিল্ডিংয়ে নামেন সৌম্য সরকার।

Share.

About Author