আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে দেশে মাথাপিছু আয় ছিল ৫২ ডলার। আর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর মাত্র ১৪ বছরে মাথাপিছু আয় বেড়ে এখন ২ হাজার ৮২৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ রবিবার (২৫ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভার নবনির্মিত দু’তলা ভবন উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ৯৪ ডলার মাথাপিছু আয় দিয়ে এ দেশের যাত্রা আরম্ভ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন তিনি সাড়ে তিন বছরের মাথায় মাথাপিছু আয় ২৭৭ ডলারে উন্নীত করতে পেরেছিলেন। ১৯৭৫ সালের পর থেকে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ ও তাদের সৃষ্ট দল ২১ বছর দেশ পরিচালনা করেন। এই ২১ বছরে তারা ২৭৭ ডলার থেকে মাথাপিছু আয় বাড়িয়ে মাত্র ৩২৯ ডলারে উন্নীত করতে পেরেছিলেন। সে অনুযায়ী ২১ বছরে তারা মাথাপিছু আয় মাত্র ৫২ ডলারে উন্নীত করেন। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর মাত্র এই ১৪ বছরে ৩২৯ ডলার থেকে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৮৪০ ডলারে উন্নীত করেছেন। এটাই হলো বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শাসনামল।
তিনি আরো বলেন, আগে গ্রামগঞ্জে মানুষ আর্তনাদ করে বলতো মাগো সারাদিন কিছু খাইনাই। আল্লাহর ওয়াস্তে চারটা ভাত দেন। আজকে এই আর্তনাদটা নাই। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, কাউকে পিছনে রেখে উন্নতি নয়। সকল মানুষের জন্য উন্নতি করবেন। সেটা করার জন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আজকে আওমীলীগের নেতৃত্বে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট নির্মিত হচ্ছে। গ্রামের প্রতিটি ঘরসহ স্কুল কলেজে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো যাতে মানুষ কস্টে না থাকে।
পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম আকন্দের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদি) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার রাসেল শেখ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শহীদ চৌধুরী। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শফিকুর রহমান ও প্যানেল মেয়র আসাদ মিয়ার যৌথ সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিস বেগম, জেলা পরিষদের সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ও উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি বাবুল আহমেদ।