৬ বছর পর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে আটক করেছে র‍্যাব

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কিশোরগঞ্জে প্রায় ৬ বছর পরে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রফতার করে র‌্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল।

র‍্যাবের হাতে গ্রফতার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. বাচ্চু মিয়া(৫৩) জেলার কটিয়াদী উপজেলার উত্তর ভূনা এলাকার মৃত গোলাপ মিয়ার ছেলে।

আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এম.এম. সবুজ রানা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১৭ সালের ২৬ জুন জেলার কটিয়াদী উপজেলার উত্তর ভূনা এলাকায় ভিকটিম মো. দুলাল মিয়া(৪০) কে আসামি মোঃ বাচ্চু মিয়া ও তার সহযোগীরা ভিকটিমের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। তখন এ হত্যা কান্ডের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এবং ঐ দিনই ১০ জনকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে আসামিদের ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ১নং আসামী মোঃল. বাচ্চু মিয়া আত্মগোপনে চলে যায় এবং দীর্ঘ ৬ বছর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন নামে দেশের বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন পরিচয়ে শ্রমিক এবং দিনমজুর পেশায় নিয়োজিত ছিল।

পরবর্তীতে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক ৬ জন আসামিকে যাবজ্জীবন সাজার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণা সময় ৫জন আসামি আআদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মোঃ বাচ্চু মিয়া শুরু থেকেই আত্মগোপনে চলে যায়।

পরবর্তীতে র‍্যাব বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষন করে আসাামির অবস্থান নিশ্চিত হয়। এবং গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এম.এম. সবুজ রানা এবং স্কোয়াড কমান্ডার মো. শহিদুল্লাহ এর নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এম.এম. সবুজ রানা জানান, হত্যার মত জঘন্য ঘটনার বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতার আসামিকে গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট মূলে কটিয়াদী মডেল থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Share.