স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষক পরিবারের ব্যানারে জেলা পাবলিক লাইব্রেরীর হল রুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময় ভুক্তভোগী শিক্ষক পরিবারের পক্ষে পাকুন্দিয়া উপজেলার পরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আল আমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, সুব্রত কুমার বণিকের নিয়োগ বানিজ্য, পোষ্টিং বানিজ্য ও বদলি বানিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রাথমিক শিক্ষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, অবসরে যাওয়ার পর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয় ও লেখা পড়া সংক্রান্ত বিষয়াদী নিয়ে আমার সাথে আলোচনা পর্যালোচনা করে থাকেন। ফলে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের কাছ থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রসঙ্গে অবহিত হয়ে বিষয় গুলো প্রতিকার চেয়ে সুব্রত কুমার বণিকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, বিগত ২০২০ সালে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জেলায় প্রায় ৬০০ জন শিক্ষক নিয়োগ প্রদানে অধিকাংশ শিক্ষকের কাছ থেকে পাঁচ থেকে আট লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের চাহিদা মোতাবেক সুবিধা জনক স্কুলে পোষ্টিং দেওয়ার ক্ষেত্রে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা করে নেওয়া হয়। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জেলার ১৩টি উপজেলার ১ হাজার ৪০০ বিদ্যালয়ের ৬জন শিক্ষার্থীর জন্য কাবড্রেস তৈরির মূল্য ১ হাজার ২০০ টাকার স্থলে ৩ হাজার ২৫০ টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগে বলা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর প্রতিকার চান ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন।