আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আজিজুল হক তোতা নামে সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার সুখিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ। আজিজুল হক তোতা উপজেলার হরশি গ্রামের মৃত ইসমাঈলের ছেলে। তিনি সুখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার হরশি বাজারের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সামনে প্রতিপক্ষের সাব্বির আহমেদ নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আজিজুল হক তোতা ও তার লোকজন। এসময় তাকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। সাব্বির জয়বিষ্ণপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে। হামলার সময় সাব্বিরকে রক্ষা করতে একই গ্রামের রোমান মিয়া এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে গুরুতর আহত হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
এঘটনায় সাব্বিরের বাবা শওকত আলী বাদী হয়ে আজিজুল হক তোতাসহ ৯জনকে অভিযুক্ত করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অচেনা আসামি করা হয়েছে আরও ছয় থেকে সাতজনকে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সারোয়ার জাহান বলেন, মারধর ও হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় এক নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ-২(কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া)আসনের সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট মো.সোহরাব উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে ৬৭সদস্য বিশিষ্ট পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা আওয়ামীলীগ। এর প্রতিবাদে দফায়-দফায় বিক্ষোভ সমাবেশ করছে বর্তমান সাংসদ নূর মোহাম্মদ সমর্থিত নেতাকর্মীরা। এনিয়ে উপজেলা আওয়ালীগে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর জেরে গত বুধবার সন্ধ্যায় বর্তমান সাংসদ নূর মোহাম্মদ সমর্থিত দুই ছাত্রলীগ কর্মীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুই হাত ভেঙ্গে ফেলে সাবেক সাংসদ সোহরাব উদ্দিন সমর্থিত আজিজুল হক তোতা ও তার লোকজন।