আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এসময় জমির মালিক বকুল মিয়া ও তার পুত্রবধু নারগিসকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙলবার দুপুরে উপজেলার পাটুয়াভাঙা ইউনিয়নের বাগপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের বকুল মিয়ার কেনাসূত্রে ৪৪শতাংশ জমি জবর-দখলের চেষ্টা করছিল পাশের বাড়ির রাহাদ মিয়া ও কামাল মিয়া। এনিয়ে একাধিক শালিস-দরবার হয়। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। গত ২২সেপ্টেম্বর বকুল মিয়া ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা চাইলে আদালত সেখানে ১৪৪ধারা জারি করার জন্য পাকুন্দিয়া থানাকে নির্দেশ দেন। পরে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু রাহাদ ও কামাল আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গতকাল মঙলবার দুপুরে দলবল নিয়ে ওই জমিতে বাঁশের বেড়া নির্মাণ শুরু করে। এসময় বাধা দিতে গেলে বকুল মিয়া ও তার পুত্রবধু নারগিসকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকেরা। গুরুতর আহত বকুল মিয়া পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এঘটনায় আহত বকুল মিয়ার ছেলে আকাশ মিয়া বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের মৃত ছেনু মিয়ার ছেলে রাহাদ মিয়া ও কামাল মিয়া এবং রাহাদের ছেলে রিয়াদ মিয়াকে অভিযুক্ত করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে আকাশ মিয়া বলেন, আমার বাবার কেনা সম্পত্তি রাহাদ, কামাল ও রিয়াদ দলবল নিয়ে জবর-দখল করে সেখানে বাঁশের বেড়া নির্মাণ করেছে। বাধা দিতে গেলে আমার বাবা ও ভাবীকে পিটিয়ে গুরতর আহত করেছে। এছাড়া বাড়ির ভেতরে ঢুকে অন্যান্য নারীদেরও মারধর করেছে। তাদের ভয়ে বাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারছেনা। প্রতিপক্ষের লোকেরা বাড়ির সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
অভিযুক্তদের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত কামাল মিয়ার মুঠোফোনে কল করলে নম্বরটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানাধীন আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো.আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, এ জমি নিয়ে উভয় পক্ষই আদালত থেকে ১৪৪ধারা জারি করেছে। আদালতের নোটিশ পেয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উভয় পক্ষকেই বলে দিয়েছি। এরপরও তারা মারামারিতে লিপ্ত হয়েছে। এবিষয়ে উভয়-পক্ষই অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।