আব্দুল্লাহ আল সুমন, ঠাকুরগাঁওঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারেক রহমান দেশে এলে যে জনস্রোত হবে তা ঠেকাতে পারবে না সরকার। বিএনপি ও তারেক রহমানের জনসমর্থন আছে কিনা সেটা সময়েই বলে দিবে। কুমিল্লার সাম্প্রদায়িক হামলার ব্যাপারে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহল এই কাজটি আ’লীগ করেছে বলে জানিয়েছে। তারা বলেছে এ দায় সরকারকেই নিতে হবে। তিনি বুধবার পৌর শহরের হাজীপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে উপরোক্ত কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে এ জাতীয় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঠিক বিচার হয়না। আমরা ধারনা করছি সরকারের মদদেই এ জাতীয় ঘটনাগুলো ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত প্রকৃতদের না বের করে সরকার উল্টো কি করেছে দেখেন, বিরোধী দলীয় লোকজনের উপর দোষ চাপাতে চৌমুহুনির ঘটনায় বরকতুল্লাহ বুলু সহ প্রায় ১ হাজার ৬শ জনকে আসামী করে মামলা দিয়েছে। বরকতুল্লাহ বুলু একজন প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ। তিনি জনগনের সাথে থেকে বার বার নির্বাচিত হয়েছেন। এ ধরনের মানুষকে এ মামলার সাথে জড়িতে জনগনের দৃষ্টি সরকার অন্যদিকে ঘুড়ানোর জন্য এ কাজগুলো করছে।
বিএনপি একটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিনত হয়েছে আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পুলিশকে তুলে নিক তারা। নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিক। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে প্রমান হবে যে, বিএনপি গণবিচ্ছিন্ন দল নাকি গনবিচ্ছিন্ন নয়। আ’লীগ জোর করে ক্ষমতা দখল করে থাকবে, পুলিশ ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় থাকবেন। ভোটের আগের দিন রাতে ভোট চুরির মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকবেন তাহলে কেমনে হয়। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধিনের নির্বাচন দিন, তাহলে পরিস্কার হয়ে যাবে বিএনপি’র প্রতি জনগনের আস্থা আছে কিনা।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের মুখে আজ হাসি নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম আজ আকাশচুম্বি। সব কিছুতেই আজ অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উচিৎ আয়নায় নিজের চেহারা দেখে তা দেশের সাধারণ জনগণের চেহারার সাথে মিলিয়ে দেখা। তাহলেই তিনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার তিনি তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। মির্জা আলমগীর বলেন, তাদের জনগণের ভোট লাগেনা। তারা নিজেরাই সব করতে পারে। খুব শুকৌশলেই তারা ১/১১ থেকেই দেশে বিরাজনীতিকরনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দেশের সাধারণ জনগণ আজ রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এর মাসুল তাদেরকেই দিতে হবে।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির কোন আগ্রহ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাটা এখন এই সরকারের হাতে পরে বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে। সে কারনেই আমরা বিগত নির্বাচনগুলো বর্জন করেছি, নির্বাচন কমিশনকে সার্চ কমিটিতে আমাদের মতামত দিয়েছি কিন্তু এই সরকার কোন কিছু গ্রহন করে নাই। কারন তারা জানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপির জয় নিশ্চিত।
মতবিনিময়কালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবু তাহের দুলাল, সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বর্তমান নারগুন ইউপি চেয়ারম্যান পয়গাম আলী, জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, দপ্তর সম্পাদক মামুন-অর রশিদ (মামুন) থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল হামিদ, যুবদলের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, ছেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি নুরুজ্জামান নুরু, রাশেদুজ্জামান রহিম রাসেদ, ছাত্র দলের সভাপতি কায়েশসহ বিএনপির অন্য সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ। , সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।