ঠাকুরগাঁওয়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন

0

আব্দুল্লাহ আল সুমন, প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁওঃ
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল মাঠ (বড় মাঠ) এ কুচকাওয়াজ, র‌্যালি, শিক্ষার্থীদের শারীরিক কসরৎ ও ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপন করা হয় বিজয় দিবস।

সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল মাঠ (বড় মাঠ) জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোঃ মাবুবুর রহমান।

বিজয় দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ নেতাকর্মী সহ আরো কয়েকটি সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আমাদের বিজয়ের ৫০ বছর পেরিয়ে ৫১-তে পদার্পণের দিন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী আজ। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে মুক্তিকামী মানুষ ১৯৭১ সালের এই দিনে অর্জন করেছিল বিজয়। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের পর বাংলার মুক্তিকামী মানুষ এই দিনটিতে বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেছিল। স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের চেতনা পূর্ণতা পেয়েছিল আজকের এই দিনে। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ আর সীমাহীন কষ্টের প্রহর কেটে নতুন সূর্যোদয় ঘটেছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বিজয়ের এই দিনটি অনাড়ম্বর পরিবেশে উদযাপনের জন্য আজ বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয় গঠিত যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এর ফলে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।

ব্যাকরণের ভাষায় ভাব সম্প্রসারণ এই কথাটি বলা হয় যে – স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে যদি আমরা রক্ষা করতে পারি তাহলেই বিজয় দিবসের আনন্দ অর্থবহ হবে। বিজয়ের গৌরবে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের সবাইকে জাতি গঠনে কাজ করে যেতে হবে।

Share.