আছাদুজ্জামান খন্দকার:
শনিবার শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষাবর্ষ-২০২২।কিন্তু নতুন বছরের প্রথমদিন সব বই পাচ্ছে না কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। চাহিদা অনুযায়ী বই না পাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ নিয়ে শংকায় রয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ১৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কিন্ডারগার্টেন পর্যায়ের ১০৩টি বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শতভাগ বই পাওয়া গেলেও প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কোন বই পাওয়া যায় নি।
অন্যদিকে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় রয়েছে ৪১টি। এসব বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়েছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার ৫০০টি। এর বিপরীতে পাওয়া গেছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯০০টি। কিন্তু ষষ্ঠ শ্রেণির আইসিটির বই ছাড়া অন্য কোন বই পাওয়া যায় নি। অপরদিকে কারিগরি বিদ্যালয়ের জন্য ১৮ হাজার ৯০০ টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে কোনো নতুন বই পাওয়া যায় নি।
এদিকে দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে ৩১টি এবং ইবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে ২২টি। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়েছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৮০টি। চাহিদার বিপরীতে বই পাওয়া গেছে ৯৫ হাজার ৭০০ টি। এর মধ্যে অষ্টম ও নবম শ্রেণির কোনো বই পাওয়া যায়নি।
পাকুন্দিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম সাইফুল আলম বলেন, আমরা চাহিদা অনুযায়ী সব বই এখনো হাতে পায়নি। শুধু মাদ্রাসার ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির একটি অংশ পেয়েছি। অষ্টম ও নবম শ্রেণির কোনো বই পায়নি। বাকি বই হাতে পেলে স্কুল গুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অপরদিকে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণির আইসিটির বই ছাড়া আর কোনো বই পায়নি।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা রেজা এ রাব্বি বলেন, প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী সব বই আমাদের হাতে পৌঁছেছে। তবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির ৯ হাজার ২৫০টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে একটি করে খাতা ছাড়া কোনো বই পাওয়া যায়নি। প্রতিটি স্কুলের শিক্ষকের হাতে সব বই তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকের বই পাওয়া মাত্রই স্কুলে পৌঁছে দেওয়া হবে।