স্টাফ রিপোর্টারঃ
আজ ৩ জানুয়ারি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী। রাজনীতির শুদ্ধ পুরুষ হিসেবে সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। স্বাধীন দেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সহচর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ সন্তান।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যিনি চেতনায় স্পর্স করে দিয়ে আদর্শকে অন্তরে অনুভব করার জন্যই মনে করিয়ে দিয়ে বলে গেছেন ‘আওয়ামী লীগ একটা অনুভূতির নাম’। তাঁর মতো নেতৃত্বের ইহজাগতিক দেহত্যাগ বা অনুপস্থিতি আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের আদর্শ-চেতনাকে কতটুকু যে থমকে দিয়েছে তা জানার বাইরে।
সৈয়দ আশরাফের মতো নেতাদের দেহাবশান হলেও তাঁদের রেখে যাওয়া আদর্শ এবং মহতী কৃতকর্মের জন্য তাঁদের মতো নেতাদের আদর্শিক চেতনার অগনিত কর্মীদের কাছে কক্ষোনোই মৃত্যু হয়না, আদর্শ-চেতনায় তিনি সদাশয় বেঁচে আছেন-বেঁচে থাকবেন আদর্শিক কর্মীদের অন্তরে, কারণ সৈয়দ আশরাফ বাংলার রাজনীতিতে একটা আদর্শের নাম।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, প্রয়াত নেতার প্রতি সম্মান জানাতে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে সকাল ১০ টায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এরপর বিকেল ৪টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়াত বীর মুক্তিয়োদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পৈতৃকবাড়ি সদরের যশোদলের বীরদামপাড়া গ্রামে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া জেলার সর্বত্রই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে প্রয়াত নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জনপ্রশাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ৬ জানুয়ারি বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।