নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ভিটামিন সমৃদ্ধ আমদানি নির্ভর একটি ভিনদেশি ফল আনার। প্রথমে এর চাষ বিদেশে হলেও বর্তমানে বাংলাদেশেও এর চাষ শুরু হয়েছে। এ দেশের মাটি কতটুকু খাঁটি তা হয়তো আর বলার বাকী রাখে না। দেশের অন্য জেলার মতো ইতোমধ্যে আনারের চাষ হয়েছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায়। নতুন কিছু চাষ করার আগ্রহ থেকেই কৃষি অফিসের সহায়তায় কলেজ ছাত্রে’র আনার চাষ সারা ফেলেছে পুরো জেলায়।
উপজেলার ষাটকাহন গ্রামের কলেজ পড়–য়া ছাত্র আনোয়ার হোসেন ফয়সালের লেখাপড়ার পাশাপাশি ফলজ গাছের প্রতি ভালোবাসা ছোটকাল থেকেই। এ কারণে নতুন কিছু করার ইচ্ছায় কৃষি অফিসের সহায়তায় বাড়ির পাশে নিজ জমিতে ভিনদেশি ফল আনারের চাষ করেছেন।
এক বিঘা জমিতে চাষ করা আনার বাগানে চারা লাগানোর ৬মাসের মধ্যেই ফল ধরতে শুরু করেছে। প্রথমে এ ফল চাষে দুঃশচিন্তা থাকলেও বর্তমানে গাছ বড় হওয়ার পাশাপাশি ভালো ফলন হওয়ায় লাভের আশা ফয়সালের। ইতোমধ্যে ফলে ফুলে ভরিয়ে উঠেছে গোটা আনার বাগান। এক বিঘা জমিতে আনার চাষে খরচ প্রায় এক লাখ টাকা। এরইমধ্যে বাজারজাতকরণ শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি আনার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০টাকা। বাংলাদেশে বেদেনার তুলনায় মাপ ও স্বাদে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে আনারে। বর্তমানে ফলন ভালো হওয়ায় ভবিষ্যতে ব্যাপক ভাবে চাষ করার আশা রয়েছে ফয়সালের। সেই সাথে এ ফলের বাগান দেখে উদ্ভুদ্ধ হচ্ছে এলাকার অন্য যুবকরা।
পাকুন্দিয়া উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ফয়সালের আনার বাগান দেখে বর্তমানে আনার চাষে স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ দেখা দিয়েছে। ভবিষ্যতে পাকুন্দিয়া উপজেলায় ধান আবাদের পাশাপাশি আনার চাষ তথা ফল বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তিনি।