আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীর অফিস ভাংচুর, প্রাণনাশের হুমকি ও নির্বাচনী কাজে বাধা প্রদানসহ নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই পদের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শামছুদ্দিন। আজ শনিবার সকালে চন্ডিপাশা গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
মো. শামছুদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও চন্ডিপাশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান।
তিনি বক্তব্যে বলেন, আজ শনিবার ভোরে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মঈন উদ্দিনের কর্মী সমর্থকরা আমার একটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করেছে। এ সময় অফিসের ৩০টি চেয়ার নিয়ে গেছে তারা। এছাড়াও আমাকেসহ আমার কর্মী সমর্থকদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার আনারস প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের নির্বাচনী কাজে বাধা দিচ্ছে। আমার পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলছে। গতকাল শুক্রবার আমার স্ত্রী কয়েকজন নারী কর্মীকে নিয়ে চিলাকাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় বের হলে নৌকা প্রতীকের ইকবাল নামের একজন কর্মী আমার স্ত্রীসহ তাদের লাঞ্চিত করে। ৩/৪দিন আগে মোসলেহ উদ্দিন নামের আমার এক কর্মীকে মারধর করে আহত করেছে তার কর্মীরা। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বেপরোয়া হয়ে উঠছে মঈন উদ্দিন ও তার কর্মী সমর্থকরা। আমার জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার নির্বাচনী কাজে প্রতিদিনই বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমি এর প্রতিকার চেয়ে পাকুন্দিয়া থানায় ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ নির্বাচনে যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে জনগন ভোট দিতে পারে এর সুষ্ট পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম, শাহাব উদ্দিন, তাজুল ইসলাম, মুর্শিদ আলী, শাহেদ আলী, আবু বক্কর ও আরিফুল ইসলাম আরজুসহ শতাধিক কর্মী সমর্থক।
এ ব্যাপারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মঈন উদ্দিন বলেন, আমার কর্মী সমর্থকরা তার নিবাচনী অফিস ভাংচুর করেনি, নির্বাচনী কাজে কোন বাধাও দেয়নি এবং তাকে কোন রকম হুমকিও দেওয়া হয়নি। বরং তার কর্মী সমর্থকরা আমার কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনী কাজে বাধা প্রদান করছে।
উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠধাপে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে আগামি ৩১ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকরা।