আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় আচরণবিধি মানছেন না প্রার্থীরা। প্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে পোষ্টার-প্রচারপত্র সাঁটানোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেন না কেউ। বসত ঘরের দেওয়াল, টিনের বেড়া, বাড়ির গেইট, দোকানের সার্টার, গাছসহ বিভিন্ন স্থানে আঠা দিয়ে লাগানো হয়েছে পোষ্টার। এমনকি বাদ যায়নি স্কুল, কলেজ ও মসজিদের দেওয়াল। তাছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নেই নিয়মিত সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মিছিল, মিটিং, শোভাযাত্রা ও উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ষষ্ঠ ধাপে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে আগামী ৩১ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও নারী সদস্য পদের প্রার্থীরা।
ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে নির্বাচনী উৎত্তাপ ততই বাড়ছে। এ অবস্থায় বেশির ভাগ প্রার্থী মানছেন না নির্বাচনের আচরণ বিধি।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, ষষ্ঠ ধাপে উপজেলার জাংগালিয়া, চরফরাদী, এগারসিন্দুর, বুরুদিয়া, পাটুয়াভাঙ্গা, হোসেন্দী, নারান্দী, চন্ডিপাশা ও সুখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নয় ইউনিয়ন পরিষদে ৬১ জন চেয়ারম্যান ৩৯১ জন সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য ও ১২৩ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদে (নারী মেম্বার) প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলা রিটার্ণিং অফিসার মো. সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, মনোনয়ন দাখিলের সময়ই সব প্রার্থীকে আচরণ বিধির বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একজন ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। এরপরও প্রার্থীদের ডেকে এ ব্যাপারে আবারও সতর্ক করে দেওয়া হবে।