আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
ষষ্ঠ ধাপে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নয়টি ইউনিয়নের মাঝে নৌকা বিজয়ী হয়েছে মাত্র চারটিতে। আর আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে পাঁচটিতে। নির্বাচনে এই ভরাডুবির কারণ হিসেবে দলের নেতাকর্মীরা মন্তব্য করেছেন অপছন্দের প্রার্থীকে নৌকার মনোয়ন দেওয়া এবং একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীর অংশগ্রহণ।
গতকাল (৩১ জানুয়ারি) সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার শামীম আহমেদকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ও আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ বুলবুল আহমেদ। নির্বাচনে বুলবুল আহমেদ মোটর সাইকেল প্রতীকে পান ৫ হাজার ৩৯৯ ভোট এবং নৌকা প্রতীকের সরকার শামীম আহমেদ পান ৩ হাজার ৪৫৮ ভোট।
বুরুদিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমানকে ৮৭ ভোটে পরাজিত করেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ নাজমুল হক রুবেল। নির্বাচনে নাজমুল হক রুবেল পান ৩ হাজার ৬৪১ ভোট এবং নৌকা প্রতীকের মাহবুবুর রহমান পান ৩ হাজার ৩৬৪ ভোট।
পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ শাহাবুদ্দিনকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ও আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ এমদাদুল হক জুটন। নির্বাচনে এমদাদুল হক জুটন আনারস প্রতীকে পান ৭ হাজার ৬৯ ভোট এবং নৌকা প্রতীকের শাহাবুদ্দিন পান ১ হাজার ৭৬৫ ভোট।
নারান্দি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলামকে ১০ ভোটে পরাজিত করেন প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ও আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মোছলেহ উদ্দিন। নির্বাচনে মোঃ মোছলেহ উদ্দিন আনারস প্রতীকে পান ৪ হাজার ৬৭৭ ভোট এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম পান ৪ হাজার ৬৬৭ ভোট।
চন্ডীপাশা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মইন উদ্দিনকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শামসুদ্দিন। নির্বাচনে মোঃ শামসুদ্দিন আনারস প্রতীকে পান ৫হাজার ৪১৩ ভোট এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মইন উদ্দিন পান ৪ হাজার ৪৪৪ ভোট।
অপরদিকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন চরফরাদি ইউনিয়নে আব্দুল মান্নান, এগারসিন্দুর ইউনিয়নের মোঃ নুরুজ্জামান বাবু, হোসেন্দী ইউনিয়নে জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ হাদিউল ইসলাম ও সুখিয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হামীদ টিটু।
পাকুন্দিয়া উপজেলা শ্রমীকলীগের সভাপতি মোঃ নাজমুল হক দেওয়ান বলেন, অপছেন্দর প্রার্থীকে মনোয়ন, দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় নৌকার চরম ভরাডুবি হয়েছে।