আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় চাচী ফজিলাতুন্নেছাসহ তার পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে তার ছোট ভাই বোরহান উদ্দিন ও চাচাত ভাই রাসেলসহ ১৬জনকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার চারদিন পর আজ শনিবার সকালে আহত ফজিলাতুন্নেছার স্বামী আবুল হোসেন বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় ওই মামলা দায়ের করা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের চরতেরটেকিয়া গ্রামের মৃত আবদুল হাইয়ের ছেলে ও বর্তমানে চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দীনের পরিবারের সঙ্গে একই বাড়ীর তার চাচা আবুল হোসেনের দীর্ঘ দিন ধরে জমি-জমা ও বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে গত মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে কামাল উদ্দীনের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জনের একটি দল দা, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আবুল হোসেনের বাড়ির উঠানে যান। সেখানে গিয়ে আবুল হোসেন কে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন তারা। এ সময় আবুল হোসেনের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা এর প্রতিবাদ করলে কামাল উদ্দীন ক্ষীপ্ত হয়ে চাচী ফজিলাতুন্নেছাকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাকে রক্ষা করতে স্বামী আবুল হোসেন, ছেলে আরিফুল ইসলাম রাজন ও মেয়ে শামীমা নাসরিন এগিয়ে গেলে কামাল উদ্দীনের সঙ্গে থাকা রাসেল ও রাবিয়া খাতুনসহ কয়েকজন তাদের লাঠি দিয়ে এলোপাতারি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। মামলার এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, এছাড়াও হামলাকারীরা আবুল হোসেনের বসত ঘরের দরজা জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরে ঘরের ভিতরে ঢুকে সুকেজের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ দুই লাখ টাকাসহ দুই ভরি ওজনের দুইটি সোনার চেইন লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ সময় তাদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে তাদের উদ্বার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মুঠো ফোনে বলেন, আমার চাচাত ভাই রাসেলদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে চাচা আবুল হোসেনের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কিছু মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবুও মামলায় আমাকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সারোয়ার জাহান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামী গ্রেফাতারের চেষ্টা চলছে।