আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর বিভিন্ন বীজ আলুর খামার পরিদর্শন করেছেন কিশোরগঞ্জের আলু চাষী ও বীজ ডিলাররা।
কিশোরগঞ্জ বিএডিসির খামার দপ্তরের উদ্যোগে শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপি কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৩০জন চাষী ও বীজ ডিলার এসব খামার পরিদর্শন করেন। এ সময় কিশোরগঞ্জ বীজ আলু উৎপাদন জোনের মেছেড়া, গড় মাছুয়া ও খুর্শিমুল বীজ উৎপাদন ব্লকের বীজ আলু এবং ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার কাশিমপুর বীজ বর্ধন খামারের সানসাইন জাতের বীজ আলুর মাঠ পরিদর্শন করেন তারা।
পরে কাশিমপুর বীজ বর্ধন খামারের হল রুমে বীজ আলু উৎপাদন, সংগ্রহ, সংরক্ষন, মাননিয়ন্ত্রণ ও বালাই ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং বিএডিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় কিশোরগঞ্জ বিএডিসি হিমাগারের উপপরিচালক (আলু বীজ) কৃষিবিদ মো. রুহুল আমিন, কিশোরগঞ্জ বিএডিসি হিমাগারের সহকারী পরিচালক (আলু বীজ) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও কিশোরগঞ্জ বিএডিসি হিমাগারের উপসহকারী পরিচালক (আলু বীজ) মো. আবদুল বাতেন বক্তব্য রাখেন। এ সময় ডিলাররাও তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় কিশোরগঞ্জ বিএডিসি হিমাগারের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. রুহুল আমীন বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং মানসম্পন্ন ভিত্তি বীজের কারণে চাষীদের মাঠে কোন রোগ বালাই আক্রমণ করেনি। যার কারণে চাষীদের বীজ আলুর মাঠ ভালো আছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন বেশী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কিশোরগঞ্জের বীজ ডিলার শহীদ উল্লাহ এবং পাকুন্দিয়ার বীজ ডিলার এরফান উদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজন সানসাইন জাতের আলুর কালার এবং ফলন দেখে উচ্চসিত হন। ভবিষ্যতে এ আলু চাষী পর্যায়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।