নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
“বজ্রকণ্ঠে ছড়ার ডাক, সাম্প্রদায়িকতা নিপাত যাক” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী ১৮তম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা। প্রতি বছর মার্চ মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার-শুক্রবার ও শনিবার তিন ব্যাপী কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবারের ন্যায় এই বছরও স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ১৮তম উৎসবের আয়োজন করেছে ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় যা চলবে ৫ মার্চ পর্যন্ত। উৎসবে যোগ দিতে স্থানীয় ছাড়াকার, কবি সাহিত্যিক ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা ও ভারত থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের ঘিরে উৎসব পরিণত হয়েছে দুই বাংলার মিলন মেলায়। মিলনের এ আয়োজনে উৎসব প্রাঙ্গণের মেলায় অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে থাকে সাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা, প্রকাশিত নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, স্বরচিত লেখা পাঠ ও সন্ধ্যায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।
এছাড়া প্রতিবছর শিশুদের নিয়ে ছড়া লিখন, চিত্রাংকন, কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। উৎসবে যোগ দিতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও থাকে চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও কবি সাহিত্যিকরা বলছেন নিজেদের সংস্কৃতিকে জানার পাশাপাশি সাহিত্যের বিভিন্ন দিক সর্ম্পকে জানার জন্য প্রতিবছর উৎসবের অপেক্ষায় থাকেন।
ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক আহমেদ উল্লাহ বলেন, সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠন জেগে ওঠো নরসুন্দার সহযোগিতায় ২০০৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এ ছড়া উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। সাহিত্য সংস্কৃতির মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্ম দেশ ও জাতি গঠনে কাজ করবে এমন প্রত্যাশায় প্রতিবছর এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এছাড়া এই উৎসবের ফলে কিশোরগঞ্জে অনেক ছড়াকার, লেখক, কবি ও সাহিত্যিক তৈরি হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ উৎসব অব্যাহত থাকবে বলেও জানান আয়োজকরা।