স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার রেকর্ড পরিমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, রিঙ্গিতসহ বিভিন্ন দেশী অর্থ ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। সকাল ৯টা গণনা শুরু হয়ে শেষ হয়েছে রাত্র ৯ টায়।
এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ৭ নভেম্বর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ তিন কোটি ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭৬৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। কিন্তু মহামারী করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে বিলম্বে দানবাক্স খোলা হচ্ছে। এবার ৪ মাস ২ দিন পর মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হলো।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের ৮জন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। বাক্সগুলো থেকে টাকা বের করে প্রথমে ১৫টি বস্তায় রাখা হয়। এরপর মসজিদের মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনার কাজ।
রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও কিশোরগঞ্জ কর্পোরেট শাখার প্রধান মো: রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী টাকা গণনায় অংশ নেন। তাদেরকে টাকা ভাঁজ করে সহযোগিতা করেছেন পাগলা মসজিদ অধীন মাদরাসার ১২০জন ছাত্র ও শিক্ষকরা।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল ইসলাম সরকার তত্ত্বাবধানে টাকা গণনার কাজ তদারকির দায়িত্বে ছিলেন জেলা প্রশাসনের ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, এবার দানবাক্সে রেকর্ড পরিমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৫৬ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, রিঙ্গিতসহ বিভিন্ন দেশী অর্থ ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। পাগলা মসজিদের দানের টাকা সাধারণ মানুষের কল্যাণে খরচ করা হয়। এবার মসজিদটির উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ইসলামিক কমপ্লেক্স নিমার্ণ করা হবে। যেখানে এক সাথে ৩০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন।