আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
প্রতিপক্ষের হামলার আশংকায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মহান স্বাধীনতা দিবসে পুলিশি প্রহরায় বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নির্মিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে এ পুষ্পস্তবক অর্পন করেন তিনি। এ সময় ১৫-২০জন নেতাকর্মী তার সঙ্গে ছিলেন। আওয়ামীলীগের বিরোধপূর্ণ দুই পক্ষের মধ্যে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিনকে আহবায়ক করে ৬৭ সদস্যের পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি। এরপর থেকে এ কমিটি বাতিলের দাবীতে দফায় দফায় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করে আসছে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু ও পাকুন্দিয়া পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম আকন্দসহ বর্তমান সাংসদ (এমপি) সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ সমর্থক নেতাকর্মীরা। তাদের প্রতিরোধের কারণে উপজেলা সদরে অবস্থান নিতে পারছিলেন না উপজেলা আওয়ামীলীগের নবনিযুক্ত আহবায়ক মো. সোহরাব উদ্দিন। এমন পরিস্থিতিতে সোহরাব উদ্দিন গত বছরে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বিজয় দিবসে রীতিমত প্রস্তুতি গ্রহণ করে কয়েকশ লোক নিয়ে সকালে উপজেলা সদরের শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়া গত ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। তাই এবারের স্বাধীনতা দিবসে আওয়ামীলীগের বিরোধপূর্ণ দুইপক্ষের মধ্যে যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এ জন্য উপজেলা সদরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাহিদ হাসান সুমন বলেন, এবারের স্বাধীনতা দিবসে আওয়ামীলীগের দুইপক্ষের মধ্যে যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে পুলিশ ব্যাপক তৎপর ছিল। পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতিতে নির্বিঘেœ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে পেড়েছে সকল রাজনৈতিক দল।