ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। ২০০৯ সালে দেশে মাত্র ৮ লাখ মানুষ ইন্টারনেট সেবা পেত। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১২ কোটি। এ সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে চার গুণের বেশী।

সরকার বিগত এক যুগে ডিজিটাল বাংলাদেশের চার স্তম্ভ- কানেক্টিভিটি, দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, ই-গর্ভমেন্ট এবং আইসিটি ইন্ডাষ্ট্রি প্রোমোশনকে ঘিরে নেয়া অধিকাংশ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। ফলে দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। শহর ও গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইস কমে আসছে। ইন্টারনেট ব্যন্ডউইথের দাম কমানো, অবকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটাল যন্ত্রকে হতের নাগালে আনার পাশাপাশি মানুষের হাতের মুঠোয় সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। জনগণ এখন ঘরে বসেই দুই শতাধিক নাগরিক সেবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাচ্ছেন।

তিনি বুধবার ( ৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে কিশোরগঞ্জে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে দেশে গড়ে উঠেছে ডিজিটাল অর্থনীতি। আমেরিকা, ইউরোপ, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের প্রায় ৮০ টিরও বেশী দেশে বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়ার ও আইটি সেবা সরবরাহ করা হচ্ছে। আইটি খাতে রপ্তানী ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এ আয় ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তৃতা করেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতির জ্যেষ্ট সন্তান রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর প্রমুখ।

এর আগে বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মহিনন্দে ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন।

এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় ৫ একর ভূমিতে ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ তলা ভবন বিশিষ্ট শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারটি নির্মিত হচ্ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এ নিমার্ণ কাজ শেষ হবে।

Share.