আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মোশারফ হোসেন নামের একজন বীরমুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান মো. খসরুল আলমের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটলেও আজ মঙ্গলবার (১২্ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরীর কাছে এর বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেনের মেয়ে নাহার আক্তার পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিনিয়র নার্স হিসেবে চাকুরী করছেন। গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই মেয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন মোশারফ হোসেন। এ সময় হাসপাতাল চত্ত্বরে তার একজন বন্ধু আফতাব উদ্দিনের সঙ্গে দেখা হয়। সেখানে তার সঙ্গে দাড়িয়ে গল্প করেছিলেন মোশারফ হোসেন। তখন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান মো. খসরুল আলম মোশারফ হোসেনকে দেখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মোশারফ হোসেনকেসহ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। এতে তিনি বাধা দিলে খসরুল আলম ক্ষিপ্ত হয়ে মোশারফ হোসেনকে মারতে উদ্যত হন। তখন আফতাব উদ্দিন ও পথচারী রায়হান খসরুল আলমকে ফিরিয়ে নেন। এ বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে মোশারফ হোসেনকে জীবনে শেষ করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে খসরুল আলম চলে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খসরুল আলম মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেনকে লাঞ্চিত করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেনের মেয়ে নাহার আক্তার নার্স কোয়ার্টারে না থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর কোয়ার্টারে থাকেন। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নূরে আলম স্যার জানতে পেরে আমাকে খতিয়ে দেখতে দায়িত্ব দেন। আমি নাহার আক্তারকে নার্স কোয়ার্টারে গিয়ে থাকতে বলি। বিষযটি জানতে পেরে নাহার আক্তারের পিতা মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।