প্রতিনিধি কটিয়াদীঃ
‘সচেতন হোন, শেয়ার করুন ও যত্ন নিন: থ্যালাসেমিয়া জ্ঞান উন্নত করার জন্য সারা বিশ্বসম্প্রদায়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করুন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন রক্তদান সমিতির উদ্যোগে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস ২০২২ পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে রবিবার (৮ মে) বিকালে উপজেলা পরিষদ গেইট ও কটিয়াদী সরকারি কলেজ গেইটে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
লিফলেট বিতরণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সন্ধানীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ডা. মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান, কটিয়াদী সরকারি কলেজের প্রভাষক শাহাব উদ্দিন, রক্তদান সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক বদরুল আলম নাঈম, সমন্বয় পর্ষদ সদস্য হোমিও চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান।
অন্যদের মাঝে ছাত্রনেতা হাসান তারেক বাপ্পী, সাব্বির আহমেদ, শাহরিয়ার হোসেন রিপন, শরীফুল ইসলাম শাপু, জয় কুমার সরকার, হৃদয় আহমেদ, জাকিয়া সুলতানা, রিয়াজুল ইসলাম রায়হান, কাওসার রানা, গোলাম রাব্বী মো. সাজিদ, উল্লাস, সাইম, সজীব, তাশরীফ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
দুরারোগ্য ব্যাধি থ্যালাসেমিয়া এবং বাহকে-বাহকে বিয়ে প্রতিরোধের জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আয়োজকরা।
উল্লেখ্য, থ্যালাসেমিয়া হলো একটি বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত রোগ। এসব রোগী ছোট বয়স থেকেই রক্তস্বল্পতায় ভোগে। এদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা যেহেতু তাদের শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত তৈরি করতে পারে না, তাই অন্যের রক্ত ট্রান্সফিউশন নিয়ে তাদের জীবন চালাতে হয়।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি ১৪ জনে একজনের থ্যালাসেমিয়ার বাহক রয়েছে, আর ৭০ হাজারের বেশি শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। প্রতিবছর ছয় হাজার শিশু বিভিন্ন রকমের থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার সাত শতাংশ অর্থাৎ প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। থ্যালাসেমিয়া বাহকদের পরস্পরের মধ্যে বিয়ের মাধ্যমে প্রতিবছর নতুন করে সাত হাজার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর জন্ম হচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া রোগীরা প্রতিমাসে এক থেকে দুই ব্যাগ রক্ত গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। চিকিৎসা না করা হলে এ রোগীরা রক্তশূন্যতায় মারা যায়।