আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গরু চুরি, মাদকসেবী ও মাদককারবারির পরিমাণ ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। এ নিয়ে থানা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ নিয়ে অভিযোগ করেন।
আজ মঙ্গলবার (৩১ মে) দুুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শহীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় হোসেন্দী ইউপি চেয়ারম্যান হাদিউল ইসলাম, পাটুয়াভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক ঝুটন, চন্ডিপাশা ইউপি চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন, নারান্দী ইউপি চেয়ারম্যান মোসলেহ উদ্দিন, জাংগালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ এসব অভিযোগ করেন। তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাপক হারে গরু চুরি চলে আসছে। মানুষ সারা রাত সজাগ থেকে পাহাড়া দিয়েও কোন ভাবে গরু চুরি ঠেকাতে পারছে না। এ উপজেলায় কয়েক বছরে শতশত গরু চুরি হয়েগেছে। এতে এলাকার দরিদ্র মানুষ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, শুধু গরু চুরিই নয়, পাশাপাশি মাদক কারবারি ও মাদকসেবীর সংখ্যাও ব্যাপক হারে বেড়েগেছে। এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রতি এলাকায় আনাচে-কানাচে বসে মাদক সেবন করছে যুবকরা। ফলে এলাকায় চুরি, ছিনতাই বেড়ে গেছে। এই মুহুর্তে যদি এদের নিয়ন্ত্রণে আনা হয় তাহলে যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই এলাকায় পুলিশ টহল বাড়িয়ে দিতে হবে।
সভায় পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান এর উত্তরে বলেন, এ বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এলাকায় পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে। প্রতিটি বিট পুলিশ কাজ করছে। ইতিমধ্যে ছয়টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে এবং এদের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা হয়েছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু, ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ও শামছুন্নাহার আপেল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার, সুখিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আ. হামিদ টিটু, বুরুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা রুবেল, চরফরাদী ইউপি চেয়ারম্যান আ. মান্নান, এগারসিন্দুর ইউপি চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান বাবুসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সংবাদকর্মীবৃন্দ।