প্রতিনিধি কটিয়াদীঃ
‘পরিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন রক্তদান সমিতি’র উদ্যোগে নানা আয়োজনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে মাসব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে পর্যায়ক্রমে ফলজ, বনজ, ঔষধি গাছের চারা রোপণ, চারা বিতরণ, পাখির জন্য নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করতে গাছে গাছে মাটির কলস স্থাপন ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম চালু হয়েছে। এছাড়া কটিয়াদী আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও কটিয়াদী সরকারি কলেজে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘একটাই পৃথিবী: প্রকৃতির ঐকতানে টেকসই জীবন’ স্লোগান নিয়ে রবিবার (৫ জুন) উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মারক বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে এ বছর সংগঠনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ‘সবুজায়ন’ এর শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান এবং ‘পাখির জন্য নিরাপদ আশ্রয়’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতিশ্বর পাল।
এ সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. ইসরাঈল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শিকদার, লোহাজুরী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আতাহার উদ্দিন ভূঞা রতন, কবি বেবী মোস্তফা, রক্তদান সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক বদরুল আলম নাঈম, সমন্বয় পর্ষদ সদস্য চলচ্চিত্রকর্মী জিসান আজাদ, হোমিও চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান, ছাত্রনেতা সাকিবুল হাসান সোহাগ, নাট্যকর্মী সাব্বির আহমেদ, সমাজকর্মী আশরাফিজুর রহমান হৃদয়, ইব্রাহিম খলিল ভূঞা, শাহরিয়ার হোসেন রিপন, কাউসার আহমেদ রানা, মোজাহিদুল ইসলাম আল-আমিন, তপু রায়হান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান বলেন, পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া অনেকাংশেই মানবসৃষ্ট। প্রতিনিয়ত অবাধে বন ধ্বংসের কারণে এহেন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এখনই সময় গাছ লাগিয়ে প্রাণ প্রকৃতিকে ভরিয়ে তোলার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে পাখিসহ বিভিন্ন বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ খুবই জরুরী। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সরকারের পাশাপাশি রক্তদান সমিতি’র মতো সর্বস্তরের জনসাধারণকে এগিয়ে আসতে হবে।
রক্তদান সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক বদরুল আলম নাঈম বলেন, পৃথিবীর উষ্ণতা ও মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। একমাত্র বৃক্ষরোপণই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে। ফিরিয়ে আনতে পারে জীব বৈচিত্র। চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে দিনব্যাপী আয়োজন সমাপ্ত হয়।