স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জে ১১ দফা দাবীতে মনববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে হোমিওপ্যাথিক পরিষদ। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের পেশকৃত দাবীগুলোর বেশ কিছু দাবী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা রয়েছে এবং কিছু দাবী বাস্তবায়ন করা শুধু সদিচ্ছার প্রয়োজন। তার মধ্যে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নামের আগে ডাক্তার পদবী’ অধিকার বজায় রাখতে হবে। এদেশে হােমিওপ্যাথগণ ১৯৬৫ খ্রি. হতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতসহ বিশ্বের প্রায় ৬৪টি দেশে আইনগতভাবে হোমিওপথিকগণ ‘ডাক্তার উপাধি ব্যবহার করে আসছেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষার আইন ২০২১ অনতিবিলম্বে পাশ করে হোমিওপ্যাথদের আইনি হয়রানি বন্ধ করতে হবে। মহামান্য হাইকোর্ট এর নির্দেশ অনুযায়ী অনতিবিলম্বে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার জন্য হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।
জমাকৃত বেসরকারি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক অনুমোদন করতে হবে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আয়ুশ মন্ত্রণালয়ের মতো বাংলাদেশেও একটি অনুরুপ মন্ত্রণালয় স্থাপন করতে হবে। ডি,এইচ,এম,এস কোর্সের মান নির্ধারণ ও সহজ শর্তে পূর্বের ন্যায় উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। ডি.এইচ.এম.এস ও বি.এইচ.এম.এস চিকিৎসকদের যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকুরির ব্যবস্থা করা। সকল সরকারি হাসপাতালে নিয়োজিত বি,এইচ,এম,এস, চিকিঙ্কদের পদোন্নতি নিশ্চিত করা। সহকারি মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডি.এইচ.এম.এস, চিকিৎসক নিয়োগে ২০১২ খ্রিস্টাব্দে স্থগিত পরিকল্পনা আদেশ বাতিল করে নিয়োগ বাস্তবায়ন করে সর্বত্র কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল অনতিবিলম্বে গঠন করতে হবে। জাতীয় বাজেটের স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দের ৩০% হোমিওপ্যাথিক/ইউনানী/আয়ুর্বেদিক শাখায় দিতে হবে। হোমিওপ্যাথিক হাসপাতল, রিচার্স সেন্টার স্থাপন ও অনুমোদনের ব্যবস্থা এবং আর্থিক বরাদ্দ প্রদান করতে হবে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলোকে সার্বিক সহযোগিতা ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করতে হবে। ড্রাগ লাইসেন্স (হোমিওপ্যাথিক) তৈরি করে আবেদন ও নবায়ন অনলাইনে করার ব্যবস্থা করা। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শতভাগ বেতন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি বিভাগে সরকারিভাবে ডি.এইচ.এম.এস ও বি,এইচ,এম,এস, কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন করতে হবে।
এসময় ডাঃ আসাদুল্লাহ, হাবিল মিয়া, ফেরদৌস খান, মইন উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, দিদারুল ইসলাম, এনায়েতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।