পাকুন্দিয়ায় ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় যুবককে কুপিয়ে জখম

0
মিজানুর রহমানঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায়  ইমরানুল হক(৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে দু্র্বৃত্তরা। এসময় তার চাচাত ভাই মহসিন ভূইয়া মিন্টুও গুরুতর আহত হয়। সোমবার (১১ জুলাই) ঈদুল আজহার পরদিন বিকেলে উপজেলার  হোসেন্দী ইউনিয়নের নওবাগিয়া বিলের পাশে নয়াপাড়া হতে কন্দরপদী নতুন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই যুবকের পিতা আজহারুল হক ভূঞা বাদী হয়ে  ওইদিন রাতেই সাত জনের নাম উল্লেখ করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার হোসেন্দী নয়া পাড়ার গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে মোস্তাকিম (৪০),কামরুলের ছেলে রিফাত (২০) ও আরাফাত (২৩),দুলাল মিয়ার ছেলে পিয়েল (২০), এংরাজ মিয়ার ছেলে রিজন (১৯), মিজানের ছেলে বিল্লাল (২১), সুরুজ মিয়ার ছেলে নাহিদ (১৯)।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,  ঈদুল আজহা উদযাপন করতে আজহারুল হক ভূঞা ও তার ছেলে ইমরানুল হক সপরিবারে ঢাকা থেকে  নিজ গ্রাম কন্দরপুদীতে আসেন। পরদিন সোমবার বিকেলে ইমরানুল হক তার স্ত্রী, ছেলে -মেয়ে, বোনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে গ্রামের পাশে নওবাগিয়া বিল এলাকায় বেড়াতে যান। ঘুরাঘুরির এক পর্যায়ে নওবাগিয়া বিলের পাশে নয়াপাড়া হইতে কন্দরপদী পর্যন্ত  নতুন রাস্তায়  পোঁছালে  স্থানীয় কয়েকজন যুবক  ইমরানুল হকের স্ত্রী ও বোনদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে থাকে । এসময় ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে নিষেধ করেন ইমরানুল হক। এ নিয়ে  তাদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে বৈঠা, লাটি ও চাপাতি দ্বারা  ইমরানের মাথায় আঘাত ও কুপিয়ে জখম করে। তার ডাক চিৎকার শুনে চাচাত ভাই মহসিন ভূইয়া মিন্টু এগিয়ে এলে তাকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে দূর্বৃত্তরা।  পরে আশপাশের লোকজন এসে আহতদের উদ্ধার করে  দ্রুত পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ বিষয়ে মুঠোফোন বা অন্য কোন উপায়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য  পাওয়া যায়নি।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোঃ সারোয়ার জাহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। দোষীদের বিষয়ে দ্রুতই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Share.