আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
ধারদেনা করে ১৮ শতাংশ জমিতে বেগুনের চারা লাগিয়েছিলেন হত দরিদ্র কৃষক খোকন মিয়া। সবে মাত্র গাছগুলোতে বেগুন ধরতে শুরু করেছে। গাছের প্রতিটি ডালের ডগায় ঝুলেছিল ছোট ছোট প্রচুর বেগুন। কিন্তু রাতের আধাঁরে ওই জমির প্রায় ১৫ শতাংশ জায়গার সব গাছ তুলে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দি ইউনিয়নের গাংকুল পাড়া গ্রামের কৃষক খোকন মিয়ার ক্ষেতে।
আগের দিনও তরতাজা বেগুন গাছের পরিচর্যা করে গেছেন তিনি। কিন্তু শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে ক্ষেতে এসে তিনি দেখতে পান সবগুলো বেগুন গাছ উপড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে। মৃত গাছগুলো হাতে নিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে আহাজারি করেন খোকন মিয়া। এসময় আশপাশে জড়ো ছিলেন এলাকাবাসী ও কৃষকরা। এ জঘন্য ঘটনায় নির্বাক ও ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে অপরাধীর কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১৫ শতাংশ জমির সবগুলো গাছ তুলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। জমিতে পড়ে থাকা গাছের পাতাগুলো রোদে নুয়ে পড়েছে। প্রতিটি গাছের ডগায় ঝুলে আছে ছোট ছোট প্রচুর বেগুন। ফলন্ত গাছগুলো ধরে আহাজারি করছেন খোকন মিয়া। কয়েকদিন পর ক্ষেত থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করতে পারতেন বলে জানান তিনি। ধারদেনা করে টাকা নিয়ে জমি চাষাবাদ করেই সংসার ও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাতেন তিনি।
কৃষক খোকন মিয়া বলেন, আমি হতদরিদ্র মানুষ। এই জমিটুকুই আমার সম্বল। এখন কি করে আমি সারাবছর সংসার চালাব। আর কি করেই বা ধারদেনা পরিশোধ করবো। এ কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সারওয়ার জাহান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।