মিজানুর রহমানঃ
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে রাখার অভিযোগ ওঠেছে প্রভাবশালী প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। মুক্তিযোদ্ধা নিবাস নির্মাণাধীন ঘরের সামনে তারকাঁটা, চারাগাছ রোপন করে লম্বা বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় অবরুদ্ধ অবস্থায় নির্মান কাজ স্থবির হয়ে পড়ে আছে । এমন ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রোকন উদ্দিন মাস্টারের বাড়ি।
জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবঃ শিক্ষক মোঃ রুকুন উদ্দিন হার্টঅ্যাটাক করে ৫/৬ মাস যাবত শয্যাশায়ী অবস্থায় আছেন। তাঁকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার বীর নিবাস একটি বাড়ি বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। বীর নিবাস নির্মানের জন্য রুকুন উদ্দিন মাস্টার পৈত্রিক ভিটায় মাটি ভরাট করার জন্য কাজ শুরু করলে প্রতিবেশী প্রবাসী আলিম বড় ভাই কামাল পরিবারের সদস্যদের কে নিয়ে তারকাঁটা দিয়ে বেড়া দিয়ে দেয়। এই ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও চেয়ারম্যান কে বিষয়টি অবহিত করলে চেয়ারম্যান এই বিষয় কয়েক বার নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রবাশালী কামালরা কারো কথা কর্ণপাত করেনি উল্টো তাদের বউ ছেলে মেয়েরা গালিগালাজ হামলা হুমকি দিয়ে আসছে এবং গাছের চার রোপণ করে তারকাটা দিয়ে রাস্তা অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (২৭জুলাই ) সরেজমিন জালুয়াপাড়া গ্রামে গেলে তারকাঁটা বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করার দৃশ্য চোখে পড়ে। এ সময় ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুন মাস্টারের স্ত্রী মোছাঃ হারেছা বেগম বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ্য অবস্থা ঘরে শয্যাশায়ী , তাকে রেখে আমি কারো কাছে যেতে পারছি না, আমি পাঁচ ছেলে ও ছেলেদের বউকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করি। আমার স্বামীর পৈত্রিক ভিটায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার বীর নিবাস বাড়িটি নির্মানে রাস্তাটি ব্যবহার করার জন্য আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই । এই বিষয়ে কথা বলতে প্রতিবেশী কামাল মিয়া প্রতিনিধির সাথে কথা বলতে রাজি নয় বলে জানিয়েছেন।
চৌদ্দশত ইউপি চেয়ারম্যান আতাহার আলী বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসার জন্য দুই পক্ষকে আলোচনা মধ্যে সমাধান করা চেষ্টা করছি একটি পক্ষ রাস্তা দিতে অপারগতা জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলি সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি জেনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।