মিজানুর রহমানঃ
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ রবিবার সকালে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ সড়কের হেতেমদী এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিল বন্ধে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রায় ৫০জন আহত হয়েছেন। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ভোলায় দুই নেতার মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজনের করে মনোহরদী উপজেলা বিএনপি। দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশটি ডাকা হয়।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব মনজুর এলাহি। এ সময় নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদুুৎ, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুর রহমান দোলনসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ সড়কের দিকে এগোতে থাকে বিএনপি নেতাকর্মীরা। বাঘবের নামক এলাকায় পৌঁছলে মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ ও শটগান থেকে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে মিছিলটি সেখান থেকে হাফিজপুর সুনিয়া মঞ্জিল প্রাঙ্গণে ফিরে যায়। সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নেতাকর্মীদের ইটের আঘাতে শিবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেজবাহ উদ্দিন, মনোহরদী থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন, ওসি তদন্ত জহিরুল আলমসহ পুলিশের ১০জন আহত হয়েছেন।
মনোহরদী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল বলেন, ‘প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে মনোহরদী উপজেলার হেতেমদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ইটভাটায় এ সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু সরকার দলীয় লোকজন স্থানটির আশপাশ এলাকা আগেই ‘দখল’ করে নিয়েছে। নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসার সময় এবং মিছিলে অংশগ্রহণ করায় পুলিশ ও আওয়ামীলীগের লোকজন হামলা চালায়। পুলিশের রাবার বুলেটে ২৮ জন এবং লাঠিপেটায় আরও ৫-৭ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন মনোহরদী পৌরসভা শ্রমিকদলের সভাপতি বাবুল কমিশনার, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান সোহাগ, রমজান তালুকদার, মনি, খোকন, ছোটন, নজরুল ইসলামসহ প্রায় ৩৫ নেতা-কর্মী আহত হন।’
মনোহরদী থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করার করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারসহ ১০ পুলিশ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’