আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার স্থানীয় কবি ও ছড়াকার মো. রফিকুল ইসলাম খোকন (৫৫)। সোমবার রাত ৯টার দিকে পাকুন্দিয়া-হোসেনপুর পাকা সড়কের গ্রাম বাংলা কমিউনিটি সেন্টারের উত্তর পাশে এ ঘটনা ঘটে। আহত খোকন মিয়া পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তিনি আশংকা মুক্ত। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে খোকন মিয়া বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। খোকন মিয়া উপজেলার চরটেকী গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর থেকে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন খোকন মিয়া। যাওয়ার পথে তাকে লক্ষ্য করে পেছন দিক থেকে হেলমেট পরিহিত দুইজন আরোহীর একটি মোটরসাইকেল দ্রুত গতিতে ছুটে গিয়ে তার পথরোধ করে। এ সময় পথে আগে থেকেই উৎ পেতে থাকা আরও চারজন হেলমেট পরিহিত দুর্বৃত্ত এগিয়ে গিয়ে খোকন মিয়াকে টেনেহেচঁড়ে মৌলভীপাড়া যাওয়ার সড়কের ভিতরে নিয়ে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে ছুরা বের করে এলোপাথারী কুপায়। এতে তার দুই হাত ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ গুরুতর জখম হয়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে ভর্তি করে।
আহত খোকন মিয়া বলেন, দুর্বৃত্তরা আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলে কোন শব্দ করলে গুলি করে দেব। আমি তাদের জিজ্ঞেস করি তোমরা আমাকে মারছ কেন? ওরা বলে আমরা জেএমবির লোক। তুই বঙ্গবন্ধুর নামে কবিতা লিখে ফেইজবুকে পোষ্ট করছিস। এই জন্য তোকে আমরা মেরে ফেলব এবং যে হাতে কবিতা লিখেছিস সেই হাত দুটো কেটে ফেলব। এই কথা বলে আমাকে এলোপাথারী কুপাতে থাকে। তখন আমি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরি। আমার মৃত্যু হয়েছে ভেবে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। আমি এর বিচার চাই।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। দুর্বৃত্তদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।