আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সুজন মিয়া নামের এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রী রিমা আক্তারকে মারধর করেছে মাদক সেবীরা। আজ রবিবার সকালে উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের শালংকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত সুজন মিয়া ও রিমা আক্তার পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় রবিবার দুপুরেই সাতজনের নাম উল্লেখ করে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শালংকা গ্রামের নির্যাতিত নারী মোছা. রিমা আক্তার।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার শালংকা গ্রামের মৃত মহর উদ্দিনের ছেলে শরীফ মিয়া (৩৫), একই গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে সানি (১৬), মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে রুবেল মিয়া (৩৫), বকুল মিয়ার ছেলে আরাফাত (১৮) ও রহমত আলী (১৮), মফিজ উদ্দিন (৪৫) ও নাজিম উদ্দিন (৫০), তাদের পিতার নামা জানা যায়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সানি, আরাফাত ও রহমত আলী দীর্ঘদিন ধরে সুজন মিয়ার পুকুর পাড়ে বসে মাদক সেবন করে আসছিল। গতকাল শনিবার সকালে এতে বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সানি, আরাফাত ও রহমত আলী সুজনকে মিয়াকে মারধর করে। এ ঘটনায় আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুজন মিয়ার বাড়ির উঠানে একটি সালিশ দরবার বসে। দরবার চলাকালীন উভয়পক্ষের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। একপর্যায়ে নাজিম উদ্দিনের হুকুমে অভিযুক্তরা লাঠিসোটা নিয়ে দরবারে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সুজন মিয়া ও রিমা আক্তারকে এলোপাথারী পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলাফোলা জখম করে। অভিযোগে আরও বলা হয়, এ সময় শরীফ মিয়া রিমা আক্তারের পড়নের কাপড় ধরে টানাহেচড়া করে শ্লীলতাহানি করে। রুবেল মিয়া রিমা আক্তারের গলা থেকে আটআনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়া যায়। যার মূল্য ৪০ হাজার টাকা। পরে বাড়ির লোকজন তাদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
পাকুন্দিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুজন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার পুকুর পাড়ে বসে ওরা গাঁজা ও ড্যান্ডি সেবন করে আসছে। এতে নিষেধ করায় শনিবার সকালে আমাকে মারধর করেছে। এ ঘটনায় আজ রবিবার সকালে একটি সালিশ দরবার বসেছিল। দরবারের মধ্যেও আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে। আমি এদের উপযুক্ত বিচার চাই।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার এসআই মো. মজিবুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।