কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ বারের মতো বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান। তিনি (চশমা) প্রতীক নিয়ে (৯৬১) ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টি মনোনীত অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন রেণু (আনারস) প্রতীক নিয়ে (২৫৮) ভোট পেয়েছেন। এছাড়া আশিক জামান এলিন (মোটর সাইকেল) প্রতীক (১৫৯) ভোট, মোঃ সেলিম (হেলিকপ্টার) প্রতীক (১৩) ভোট ও হামিদুল আলম চৌধুরী (ঘোড়া) প্রতীক (১৩৬) ভোট পেয়েছেন।

সাধারণ সদস্য পদে (কিশোরগঞ্জ সদর) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক (তালা) প্রতীকে (৮১) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া অপর প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম (অটোরিক্সা) প্রতীকে (০৪) ভোট, মোঃ সানোয়ার হোসেন (টিউবওয়েল) প্রতীকে (৭৪) ভোট পেয়েছেন।

(হোসেনপুর) মাসুদ আলম (টিউবওয়েল) প্রতীকে (৫৩) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছাবিয়া পারভীন জেনি (ঘুড়ি) প্রতীকে (৩৯) ভোট ও মোঃ মোছলেহ উদ্দিন (হাতি) প্রতীকে (০) ভোট পেয়েছেন।

(পাকুন্দিয়া) মো. শফিকুল ইসলাম (ঘুড়ি) প্রতীকে (৪৯) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাবুল আহমেদ (টিউবওয়েল) প্রতীকে ৪৮ ভোট, বজলুল করিম বাবুল (বক) প্রতীকে (২৮) ভোট, আল মোকাররম (অটোরিকসা) প্রতীকে (০৩) ভোট, জিএম হাবিবুল্লাহ (হাতী) প্রতীকে (০৩) ভোট এবং মনোয়ার হোসেন (তালা) প্রতীকে (০১) ভোট পেয়েছেন।

(কটিয়াদী) মোঃ কামরুজ্জামান (তালা) প্রতীকে (৬৩) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাদেক হোসেন খোকা (ঘুড়ি) প্রতীকে (২৯) ভোট ও সৈয়দ মুরাদ (টিউবওয়েল) প্রতীকে (৩৮) ভোট পেয়েছেন।

(বাজিতপুর) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান (তালা) প্রতীকে (১১৩) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহবুব হাসান কামাল (টিউবওয়েল) প্রতীকে (৩১) ভোট ও অ্যাডভোকেট আলহাজ¦ আব্দুর রহমান বোরহান (হাতি) প্রতীকে (১৫) ভোট পেয়েছেন।

(তাড়াইল) আলহাজ¦ এ কে এস জামান স¤্রাট (তালা) প্রতীকে (৩৭) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুল ইসলাম (টিউবওয়েল) প্রতীকে (২৮) ভোট পেয়েছেন।

(ইটনা) ইসমাইল হোসেন (টিউবওয়েল) প্রতীকে (৭২) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খলিলুর রহমান (তালা) ৪৮ ভোট পেয়েছেন।

(অষ্টগ্রাম) ফজলুল হক হায়দারী (তালা) প্রতীকে (৫৫) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ছায়েদুর রহমান (টিউবওয়েল) প্রতীকে (৪৮) ভোট পেয়েছেন।

(নিকলী) মো. আবু তাহের (তালা) প্রতীকে (৫৯) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জাকির হোসেন বাতেন (টিউবওয়েল) প্রতীকে (৩৩) ভোট পেয়েছেন।

(ভৈরব) কাইসার আহমেদ ভূঁঞা (ঘুড়ি) প্রতীক ও মো. জাকির হোসেন (তালা) প্রতীক ৫১ ভোট করে পান। দুই প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় নির্বাচন আইন অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে লটারি করা হবে।

(কুলিয়ারচর) আব্দুছ ছাত্তার (ঘুড়ি) প্রতীকে (৪১) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. নজরুল ইসলাম (তালা) ২৮ ভোট পেয়েছেন।

এছাড়া, একক প্রার্থী হওয়ায় (করিমগঞ্জ) মো. সোহাগ মিয়া, (ইটনা) মো. ইসমাইল হোসেন ও (মিঠামইন) রইছ উদ্দিন আহমেদ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া) কামরুন্নাহার লিপি (ফুটবল) প্রতীকে (২০৩) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রাতিদ্বন্দ্বী ফৌজিয়া জলিল নেন্সি (হরিণ) প্রতীকে (১৩৯) ভোট পেয়েছেন।

(করিমগঞ্জ-তাড়াইল) মোছা. সেলিনা খানম (ফুটবল) প্রতীকে (১১৯) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শায়লা পারভীন সাথী (টেবিল ঘড়ি) প্রতীকে (৭৩) ভোট পেয়েছেন।

(ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) নাছিমা আলম (মাইক) প্রতীকে (১৬০) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদা আক্তার (বই) প্রতীকে (১৫৬) ভোট পেয়েছেন।

(ভৈরব-কুলিয়ারচর-কটিয়াদী) আসমা আহমেদ (টেবিল ঘড়ি) প্রতীকে (১৬৩) ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতীদ্বন্দ্বী সানজিদা ইয়াছমিন (হরিণ) প্রতীকে (১৩২) ভোট পেয়েছেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন (নিকলী-বাজিতপুর) বাজিতপুর উপজেলা পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান ছারওয়ার আলমের স্ত্রী ইয়াছমীন আক্তার।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর দুইটায়। জেলার ১৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ১ হাজার ৫ শত ৪৮জন, এতে চেয়ারম্যান পদে ৫জন, সাধারণ সদস্য ৩৭ জন ও সংরক্ষিত আসনে ১২জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

Share.