স্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌসুম অনুযায়ী এ দেশে টমেটো চাষ মূলত শীতকালীন সবজি। স্বাভাবিক সময়েই শীতকালে টমেটো গাছে ফলন ধরে। তবে বর্তমান সময়ে মানুষের খাদ্যভ্যাসের চাহিদার কথা মাথায় রেখে গ্রীষ্মকালে টমেটো উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এরই মধ্যে উৎপাদনে সফলতার পর দেশে এর চাষ সম্প্রাসারনের লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জে কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বারী জাতের টমেটো চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। চাষীদেরও আগ্রহ করে তুলতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবসের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে কিশোরগঞ্জ সরেজমিন গবেষণা বিভাগ।
সদর উপজেলার সাদুল্লারচর বড়ভাগ এলাকায় কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন বারী হাইব্রিড-৮ ও ১১ জাতের টমেটো চাষ করেছেন কৃষক আব্দুল কাইয়ুম। মাচাং পদ্ধতিতে সরেজমিন গবেষণা বিভাগের সহায়তায় উচ্চ ফলনশীন জাত উৎপাদন প্রযুক্তি কর্মসূচির আওতায় ২৩ শতাংশ জমিতে চাষ করা টমেটোর ফলন হয়েছে আশানুরুপ। এ জাতের টমেটোর বীজ বপনের সময় কাল এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত। বপনের ৩০ থেকে ৩৫দিন পর চারা তুলে দুই পাশে ৫ফুট উচ্চতার খুঁটি দিয়ে পলিথিনের ছাউনিসহ অন্যত্র রোপনের মাধ্যমে এর চাষ করা হয়। রোপনের ৭০ দিনের মাথায় ফল সংগ্রহ করা যায়। প্রতিটি চারার জীবনকাল ১৩০ দিন। যার প্রতি হেক্টর উৎপাদন ৫০টন। পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথমবারের মতো চাষ করা হলেও টমেটোর ফলন ও দাম দুটো’ই ভালো হওয়ায় খুশি চাষী, এ দেখে চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন অন্য চাষীরাও।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মাজহারুল আনোয়ার জানান, সাধারণ পদ্ধতিতে চাষ করা টমেটোর খরচের তুলনায় এ পদ্ধতিতে খরচ বেশি। তবে গ্রীষ্মকালীন টমেটো শীতের চেয়ে অন্তত চার-পাঁচ গুণ বেশী দাম পাওয়া যায়। শুধু শীতকাল নয় সারাবছর টমেটো চাষ, ভোক্তাদের কাছে সবজির সহজলভ্যতা ও ভাতের উপর চাপ কমাতেই এ জাতের উদ্ভাবন করা হয়েছে।