কিশোরগঞ্জে উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও জলবায়ু বিপর্যয়রোধে নারী নেতৃত্ব কর্মশালা

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ
উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও জলবায়ুর বিপর্যয় রোধে নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জে কর্মশালা হয়েছে। আজ ২ নভেম্বর বুধবার সকালে কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনায় জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক এসএম খাইরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. এস.এম তারেক আনাম, পাথফাইন্ডারের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহবুবুল আলম, প্রজেক্ট ম্যানেজার আলমগীর হায়দার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের দেশে ভূমিকম্প এবং অগ্নিকা- নিয়ে আগাম কোন প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু বন্যায় আগাম প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ থাকে। বন্যায় মানুষের খাবারের সংকট থাকলেও সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে সেগুলি মোকাবেলা করা যায়। ফলে খাদ্য নিয়ে বন্যা দুর্গতদের খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয় না। কিন্তু বন্যার সময় যারা আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে ওঠেন, তাদের স্যানিটেশন সমস্যাটাই বেশি প্রকটভাবে দেখা যায়। বিশেষ করে নারীদের এ ক্ষেত্রে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়। ফলে এ বিষয়ে সবাইকে মিলে আরও সুচিন্তিত উদ্যোগ নিতে হবে।

পাথফাইন্ডার কর্মকর্তাগণ জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব বিপর্যয়গুলো তৈরি হয়, এগুলি মোকাবেলার জন্য পাথফাইন্ডার এশিয়ার বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং মিয়ানমারে ‘দিশারি’ প্রকল্প নামে কাজ করছে। বাংলাদেশে কাজ করছে ৩২টি জেলায়। ১৯৭৮ সাল থেকে শুরু করে পাথফাইন্ডার বর্তমানে বিশ্বের ২০টি দেশে কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্পটি প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে। কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা নিয়েও কাজ করে। প.প. বিভাগের উপ-পরিচালক এসএম খাইরুল আমিন বলেন, পাথফাইন্ডারের কাজের সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সহায়তা করে যাচ্ছে। এখন আমরা কেবল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করি না, পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করি। অর্থাৎ পরিবারের সদস্য সংখ্যার পাশাপাশি প্রজনন সেবা, প্রসূতি সেবা, কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন সেবাও দিয়ে থাকি। যাদের সন্তান হয় না, তাদের সন্তান ধারণ বিষয়েও পরামর্শ দিয়ে থাকি। এখন কিশোরীরা প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে অনেক সচেতন ও সাবলিল হয়েছে। এটা একটা ইতিবাচক পরিবর্তন। প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে জনপ্রতিনিধিদেরও কাজে লাগাতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কর্মশালায় বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সরকারী বিভিন্ন দপ্তর প্রধানসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।

Share.