আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমকে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুপুর দেড়টার দিকে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার শারফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন, বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু, পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম আকন্দ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ জুয়েল, পাকুন্দিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জাহান, পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কফিল উদ্দিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মজিবুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম, হোসেন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাদিউল ইসলাম, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন ও উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি বাবুল আহমেদ প্রমুখ।
এ সময় বিদায়ী জেলা প্রশাসকের উদ্দেশ্যে বক্তরা তার কর্মকান্ড ও দক্ষ ভূমিকা নিয়ে প্রশংসা ও স্মৃতি চারণ করেন।
পরে বিদায়ী সংবর্ধনা নিতে গিয়ে জেলা প্রশাসক মো. শামীম আলম বলেন, এ জেলা কোন সাধারণ জেলা নয়। এটি একটি ভিআইপি জেলা। এ জেলায় অনেক জ্ঞানী-গুনীজনের জন্ম হয়েছে। এ জেলায় তিনজন মহামান্য রাষ্ট্রপতির জন্ম হয়েছে। এ জেলায় যারা কাজ করতে আসেন, তাদের ভেবে চিন্তে সরকার এখানে পাঠান। যাতে তারা সবার সাথে মিলে মিশে কাজ করতে পারেন। আমি একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। কারণ আমি এই জেলায় ভিআইপি পার্সনদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমি এখানে কাজ করতে গিয়ে সকলের সমান সহযোগিতা পেয়েছি। আমি কখনও এ জেলার কথা ভুলতে পারব না।
পরিশেষে আপনারা যারা আমাকে এ সংবর্ধনা প্রদান করেছেন, আপনাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ ও আপনাদের কথাও আমার সব সময় মনে থাকবে।
এর আগে বিদায়ী এ জেলা প্রশাসককে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদসহ সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম দীর্ঘ এক বছর ১১ মাস কিশোরগঞ্জে কর্মকাল শেষে তিনি কুমিল্লার জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলী হয়েছেন। ২২তম বিসিএস ব্যাচের এ কর্মকর্তা টাংগাইলের ঘাটাইল উপজেলার কৃতি সন্তান।